দাস বাড়ির প্রতিমা (Photo Credits: Prasenjit Das)

কলকাতা, ২৮ সেপ্টেম্বর: ষষ্ঠীতে (Sasthi) মায়ের বোধন (Bodhan)। পুজোর শুরু (Puja Start)। এতো ভূ-ভারতেই প্রচলিত। কিন্তু কলকাতার (Kolkata) ট্যাংরার দাস বাড়িতে (Tangra's Das bari) ১৫ দিন আগে থাকতেই শুরু হয়ে যায় দুর্গা পুজো (Durga Puja)। আর দশমী (Dashami)নয়, পুজো এখানে শেষ হয়ে যায় নবমীতেই (Navami)। দশমীতে বিশেষ উপাচারে ভোগ খাইয়ে উমাকে পাঠান হয় কৈলাসে (Kailash)। সেদিন দুর্গা পুজোর রীতি-রেওয়াজ বলতে শুধু বাকি থাকে বিসর্জন প্রক্রিয়া (Visarjan)। পুরনো কলকাতার (Old Kolkata) এই বনেদী বাড়ির দুর্গা পুজোয় এক যুগ ধরে চলে আসছে এই রেওয়াজ। চলতি সপ্তাহের সোমবারই মায়ের বোধন হয়ে গিয়েছে ট্যাংরার দাস বাড়িতে।

কিন্তু এমন অদ্ভুত নিয়ম কেন? দাস বাড়ির বর্তমান উত্তরাধিকারী (Decendant) প্রসেনজিত দাস (Prasenjit Das) এই প্রসঙ্গে আমায় জানিয়েছেন সেই তথ্যও (Information)। পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়র (Mechanical Engineer) প্রসেনজিতবাবু জানান, শাস্ত্র মতে দুর্গা পুজোর ৭ টি কল্প (Kalpo)। কল্প অর্থাৎ যে ক্ষণ থেকে পুজোর শুরু করা যায়। তারমধ্যে সর্বশেষ কল্প হল ষষ্ঠী। তাই ষষ্ঠী থেকেই পুজো শুরু হয় সাধারণত। আর তার ঠিক আগের কল্প হল, ষষ্ঠীর ১৫ দিন আগে কৃষ্ণ পক্ষের নবমী তিথি। সেই তিথিতেই দাস বাড়িতে দুর্গা পুজো শুরু করার চল রয়েছে। দুর্গা পুজো সংক্রান্ত বিভিন্ন পুঁথি (Book) সংগ্রহ এবং পড়ার অভ্যেস আমার এবং আমার দিদি ডাঃ মৌমিতা দাসের (D. Moumita Das) বরাবরই। তেমনই একটি পুঁথিতে দুর্গা পুজোর এমন বিধান পাই। আর তখন থেকেই টানা ১২ বছর ধরে ষষ্ঠীর ১৫ দিন আগে থেকেই দুর্গা পুজোর সূচনা হয়ে আসছে আমাদের বাড়িতে (Home)। আর সেই নিয়মের হিসেবেই আমাদের বাড়ির দুর্গা পুজো শেষ হয় শুক্ল পক্ষের নবমী তিথিতে। অর্থাৎ দুর্গা নবমীতে। শুধু বিসর্জন ক্রিয়া সম্পন্ন হয় দশমীর দিন। আরও পড়ুন- Durga Puja 2019: পুজোয় বর্ষাসুর বধে আজ যজ্ঞ করছে গড়িয়ার বালিয়া বৈশাখী সংঘ; ৭ বছরের পুরোহিত এক নিঃশ্বাসে করলেন চণ্ডীপাঠ

(Photo Credits: Prasenjit Das)
(Photo Credits: Prasenjit Das)

তবে ১২ বছর নয়, প্রায় ৩০ বছর ধরে দাস বাড়িতে উমার (Uma) আরাধনা হয়ে আসছে। তখন মা পূজিতা হতেন নবদুর্গা (Navadurga) নামে। ট্যাংরায় গিয়ে শীল লেনের (sil Lane) দাস বাড়ি বললেই এলাকার মানুষ এক ডাকে চিনিয়ে দেবেন এই বাড়ি। দাস বাড়ির পুজোর ভোগেও রয়েছে অভিনবত্ব।