কর্পূর গাছ থেকে পাওয়া যায় কর্পূর । হল একটি সাদা, স্ফটিক-আকৃতির পদার্থ। সুগন্ধযুক্ত এবং দাহ্য পদার্থ। মূলত পুজোয় ব্যবহার হয়। তবে কর্পূরের অনেক ঔষধিগুণ আছে। কর্পূর গুঁড়ো বা তেলের ব্যবহার নানা অসুখ সারায়, আবার ত্বকের পরিচর্যাতেও অনেক উপকার করে কর্পূর। জেনে নিন কর্পূরের উপকারিতা।

ছোট পোকামাকড়কে দূরে রাখতে ব্যবহার করা হয় কর্পূর। যেখানে পোকা মাকড় আছে সেখানে একটু কর্পূর ছড়িয়ে দিলে পালাবে পোকা। কর্পূর পোড়ানো বাষ্প ঘর থেকে জীবাণু দূর করতে এবং বাতাসকে বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে।

কর্পূর ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। চুলকানি, র‍্যাশ, এবং ব্রণের জন্য ব্যবহার করা হয়।কাশির ঔষধ, ব্যথানাশক, এবং শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা সমাধানে কর্পূর ব্যবহার হয়।

কর্পূর হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়, যা পবিত্রতা ও শুদ্ধতার প্রতীক। জামাকাপড়ে সুগন্ধ আনতেই মূলত কর্পূর ব্যবহার করা হয়। এক টুকরো কর্পূরকে জলের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে দিন। মিনিট ১০ পর জল দিয়ে ধুয়ে নিন। ত্বকে প্রদাহ ও র‍্যাশের সমস্যা থাকলে তার থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। ভুলেও সরাসরি রক্তের সংস্পর্শে আনবেন না কর্পূরকে। আগে শরীরের অন্যকোন অংশে ব্যবহার করে দেখুন কোন জ্বালা বা অন্যকোন‌ সমস্যা হচ্ছে কিনা। সমস্যা হলে মুখে মাখবেন না।

ঠান্ডা লেগে বুকে কফ জমা, শ্লেষ্মা হওয়া নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিলেত কর্পূর দারুন কাজ দেয়। গরম সর্ষের তেলের সঙ্গে সামান্য কর্পূর গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে।সেই তেল বুকে ও পিঠে মালিশ করতে হবে। এতে উপকার পাবেন।

খুশকি দূর করে কর্পূর। নারকেল তেলের সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে চুলে মাখতে হবে। কিছুক্ষন পর শ্যাম্পু করে নিন। খুশকি দূর হওয়ার পাশাপাশি চুল পড়া বন্ধ হবে। কর্পূর তেল দিয়ে মালিশ করলে কোন‌ ব্যাথা, লাগা, পেশিতে টান থেকে আরাম পাওয়া যায়।

তবে ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।