বৃষ্টি রোধে যজ্ঞ করছে বালিয়া বৈশাখী সংঘ (Photo Credits: Arnab Gupta)

কলকাতা, ২৮ সেপ্টেম্বর: কথায় আছে, বিশ্বাসে মেলায় বস্তু; তর্কে বহু দূর। হাওয়া অফিস (Weather Office) বলছে, পুজোয় (Durga Puja) এবার ভোগাবে অক্লান্ত বর্ষা (Moonsoon)। উৎসবের আনন্দলোকে (Festival) থাবা বসাবে বর্ষাসুর। তাই এবার উলট পুরাণ। বৃষ্টি কামনা করে নয়, বৃষ্টি বন্ধের প্রার্থনা জানিয়েই বরুণ দেবতার (Lord Varuna) উদ্দেশে যজ্ঞ হয়ে গেল শহর কলকাতায় (Kolkata)। গড়িয়ার বালিয়া বৈশাখী সংঘে (Garia Balia Baisakhi Sangha) যজ্ঞ করলেন ৭ বছরের পুরোহিত অভীক পাঠক (Avik Pathak)। মহালয়ার (Mahalaya) দিন সকালে বরুণ দেবতাকে তুষ্ট করতে এক নিঃশ্বাসে গড়গড় করে আওড়ে গেলেন চণ্ডীপাঠ (Chandipath)। এদিন সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয় যজ্ঞ (Obliation)। যা দেখতে মহালয়ার সকালে ভিড় জমে যায় যজ্ঞ প্রাঙ্গণে। দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসেন মানুষ (Public)।

প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে (Budget) তৈরি হচ্ছে এবার গড়িয়ার বালিয়া বৈশাখী সংঘের মণ্ডপ। তাঁদের থিম - রাজকাহিনীর রাজবাড়ীতে রাজকন্যের নূপুর, সাঁঝবেলার ওই ঝাড়বাতিতে অন্য ছাঁচের ঠাকুর। এবার ৪৭ তম বছরে পা দিল বালিয়া বৈশাখী সংঘের পুজো। দুর্গা পুজো ঘরে ফেরার উতসব। কর্মসূত্রে যে যতই দেশান্তরী হন না কেন এই পুজো ঘরে ফেরায় ঘোর নাস্তিককেও। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে চেয়েও ঘরে ফেরা হয়ে ওঠে না বাধ্যবাধকতার টানাপোড়েনে। কিন্তু দুর্গোৎসবে সকলের বাড়ি ফেরা উচিৎ। এই বিষয় ভাবনাকে থিম (Theme) হিসেবে ফুটিয়ে তুলতে চেয়ে বালিয়া বৈশাখী সংঘের মণ্ডপে একটু একটু করে প্রাণ পাচ্ছে ভগ্নপ্রায় চারমহলা এক রাজবাড়ি। যেখানে এককালে একসঙ্গে সবাই মিলে দুর্গা পুজোয় মিলিত হত। কিন্তু বর্তমানে উত্তরসূরীরা সকলেই কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন বলে বাড়ি আসতে পারেন না। এক কথায়, তাঁদের এবারের থিম শিকড়ের টানে পরিজন ফিরুক ঘরে। আরও পড়ুন- Durga Puja 2019: আজ কলকাতায় অস্ট্রেলিয়ান ট্রাম কনডাক্টর রবার্তো; পথশিশুদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে রেকর্ড করবেন শ্যামবাজার পল্লী সংঘের থিম সং

(Photo Credits: Arnab Gupta)
(Photo Credits: Arnab Gupta)

এই অসাধারণ ভাবনা (Thought) যার মস্তিস্ক প্রসূত, তিনি থিমমেকার (Theme Maker) স্বপন কুমার মাইতি (Swapan Kr. Maity)। আজকের যজ্ঞ প্রসঙ্গে তিনি 'লেটেস্টলি' (LatestLY) বাংলাকে জানান, চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র অভীক পাঠক। বাড়ি বারুইপুর (Baruipur)। আরও ছোট্ট বয়স থেকেই সে এক নিঃশ্বাসে চণ্ডীপাঠ করতে পারে। এই পুজোর ক্লাবকর্তাদের বিশেষ পরিচিত অভীকের বাবা। একদিন কথায় কথায় তিনি নিজের ছেলের এই অসাধারত্বের কথা জানান। তখনই ক্লাবের কর্মকর্তাদের মাথায় আসে অভিনব এই চিন্তা। অভীককে দিয়ে প্রার্থনা করিয়েই তুষ্ট করতে হবে বরুণ দেবতাকে। আর সেই ভাবনা থেকেই আজ ৭ বছরের অভীক রাজ্যবাসীর আনন্দ উৎসবের স্বার্থে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করল।