Durga Puja 2019 Mahalaya Special Nostalgia of Radio: কিছু জিনিস থাকে কোনওদিন বদলায় না। খুব কম জিনিসই সেসব তালিকায় পড়ে। ঠিক যেমন মহালয়া। সেই আকাশবাণী কলকাতা। ভোর ৪ টের সময় দুনিয়ার সবপ্রান্তের বাঙালী রেডিও-কে কান দিয়ে চোখ বন্ধ করে ভেসে যায় দেবীর আবাহনে। পাড়ায় পাড়ায় সকলের বাড়িতেই বাজে আলোর বেণু। ভুবন মাতিয়ে আহ্বান করত মা আসছেন। আগমনীর সুর আকাশে বাতাসে, শরতের কাশ, শিউলি। আর কোথাও একটা থেকে ভেসে আসা অজানা সুগন্ধ জানান দেয় মায়ের ঘরে আসার। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র সকলের ঘরে ঘরে এখনও রেডিও-তে বাজে মহালয়া।
সময় বদলেছে। কাশ ফুল আজ শহর থেকে অনেক দূরে ফোঁটে। শিউলি ফুটলেও তার গন্ধ নেওয়ার সময় মানুষের নেই। কিন্তু যতই বদল আসুক নস্টালজিক বাঙালি কিন্তু রেডিও শুনতে ভুলে যায় না। আজও রেডিও সারানোর হিড়িক পরে দোকানগুলিতে। আলমারির মাথায় তোলা রেডিওকে ঝেড়েমুছে নামিয়ে চ্যানেলের টিউনিং করে। খুঁজে নেয় আকাশবাণী কলকাতা। টিভিতে রয়েছে কমার্শিয়াল চ্যানেল। সেখানে দুগ্গা দুগ্গায় চ্যানেলযুদ্ধ। সম্প্রচার প্রয়োজনে পুনঃসম্প্রচার। সময় আরও একধাপ এগিয়েছে। আজকাল ইউটিউবের জমানায় টিভিও দেখছেন না লোকজন। বিশেষত নতুন প্রজন্ম। তাঁরা আগেরদিন ডাউনলোড করে পরেরদিন সকালে চালাচ্ছেন মহালয়া। নাহলে হেডফোন কানে গুজে ঘুমোতে ঘুমোতে একাই শুনছে। কিন্তু আজও এই প্রশ্নটা ঘোরে, রেডিওতে মহালয়া শোনা কি অতীত? আরও পড়ুন, Durga Puja 2019 Fitness Tips: যা খাচ্ছেন খেয়ে যান কিন্তু পুজোর আগে মানুন এই টিপসগুলি
গ্রামোফোন আমরা হারিয়েছি তবে কি রেডিও? না, মানুষ পুরোপুরি রেডিও ভোলেনি। বছরের একটা দিন ধুলো পড়া রেডিওটাকে ঝেড়েমুছে থাপ্পড় মেরে চালানোর চেষ্টা করে। রেডিওর দোকানে মাসখানেক আগের থেকে হিড়িক পড়ে পুরোনো নস্টালজিয়া ফিরিয়ে আনার। আবার 'জাগো তুমি জাগো' -র পালা। এই ডিজিটালাইজেশনের যুগে একটা বড় সংখ্যক মানুষ রেডিওকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তবে আর যাই হোক বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রকে মানুষ ভুলে যায়নি। মহালয়ার সকালে ভেসে ওঠা আগমণীর গান। দেবীপক্ষের আহ্বানে বাঙালি আজও মেতে ওঠে। শুরু হয় ঘাটে ঘাটে পিতৃতর্পণ।