ধনতেরাসকে বছরের শুভদিন হিসেবে ধরা হয়। এদিন লক্ষ্মীপুজো হয়। মনে করা হয়, ধনতেরাসের দিন দেবী লক্ষ্মী সমুদ্র মন্থনের সময় দুধের সমুদ্র থেকে বেরিয়ে আসেন, সেই কারণেই এদিন দেবী লক্ষ্মীর পুজো করা হয়। সাধারণত ধনতেরাস দিয়েই পাঁচদিনের আলোর উৎসব দিওয়ালির সূচনা হয়।
কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ১৩-তম দিনে হয় ধনতেরাস। মা-লক্ষ্মী ও কুবেরের সামনে কলাপাতা বিছিয়ে তাতে ১৩টি প্রদীপ দান করতে হয়, যাকে বলা হয় ত্রয়োদশ দীপদান। দক্ষিণমুখে দীপগুলো রেখে 'মৃত্যু না পাশদন্তা ভ্যাং কাল শ্যামলয়াসহ। ত্রায়োদশ্যাং দীপদানৎ সূর্যজঃ প্রীয়তামিতি।' মন্ত্রোচ্চারণ করে কুবেরের পুজো করা হয়।
যমরাজের হাত থেকে স্বামীর প্রাণ বাঁচাতে কুবেরের পুজো করেছিলেন রাজা হংসের কন্যা। যমরাজকে অর্ঘ্য হিসেবে দিয়েছিলেন বিপুল ধনরত্ন ও রাশিকৃত মণি মাণিক্য। সেই থেকেই ধনতেরাসে কুবেরের পুজো চলে আসছে। মনে করা হয়, এই দিন ১৩ প্রদীপ জ্বালালে সংসারের অর্থকষ্ট দূর হয়, অকালমৃত্যু রোধ করা যায়।যমরাজের উদ্দেশ্যে ঘি-কর্পূর সহযোগে এই ১৩টি দীপ জ্বালাতে হয়। এরপর দুটি দীপকে ঘি সহযোগে উৎসর্গ করার পর বীজমন্ত্র পাঠ করতে হবে।
কুবেরের প্রণাম-মন্ত্র- 'ঔঁ যক্ষায় কুবেরায় বৈশ্রবণায় ধনধান্যাদিপতয়ে ধনধান্যসমৃদ্ধিং মে দেহি দাপয় স্বাহা।' কুবেরের বীজমন্ত্র- 'ঔঁ শ্রীং ঔঁ হ্রীংশ্রীং হ্রীং ক্লীং শ্রীং ক্লীং বিত্তেশ্বরায় নমঃ।