বিশ্বকর্মা পুজো (File Photo)

কলকাতা, ১৭ সেপ্টেম্বর: কতগুলি শ্রমজীবী মানুষের প্যান্ডেলে আনা গোনা। কতগুলি নেশাতুর মানুষের টলমল পায়ে হিন্দি, ভোজপুরি গানের সঙ্গে নাচানাচি। নীল আকাশে ঘুড়ির মেলা। কলকারখানায় (Mills) সাইরেন নয় বাজবে বিশ্বকর্মা পুজোর (Vishwakarma Puja) বাদ্যি। পাড়ায় পাড়ায় অলিতে গলিতে চলছে পুজোর প্রস্তুতি। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই দুর্গাপুজোর বাদ্যি বেজে গেল। সাধারণত ভাদ্র মাসের শেষ দিনটিতেই এই পুজো হয়ে থাকে।

কাল ১৮ সেপ্টেম্বর, ৩১ ভাদ্র বিশ্বকর্মা পুজো। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আজ হলেও বাংলা ক্যালেন্ডার মতে ভাদ্র মাসের শেষ দিন অর্থাৎ কাল পালিত হবে বিশ্বকর্মা পুজো। কলকাতাসহ সংলগ্ন জেলাগুলির ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল, কলেজগুলিতেও পালিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো। হিন্দু ধর্মে শিল্প, শ্রমের দেবতা হিসেবে বিশ্বকর্মাকে পুজো করা হয়। এই পুজোর একটি বিশেষত্ব ভাদ্র মাসের শেষ দিনটিতেই পালিত হয় এই উৎসব। সরস্বতী পুজো থেকে দুর্গাপুজো যেখানে তিথি মেনে হয়, কিন্তু এই দিনটা ব্যতিক্রম। সেপ্টেম্বরের ১৭ কিংবা ১৮ তারিখে প্রতি বছর উদযাপিত হয়। আরও পড়ুন, যা খাচ্ছেন খেয়ে যান কিন্তু পুজোর আগে মানুন এই টিপসগুলি

চান্দ্র পঞ্জিকা অনুসরণ করে হিন্দু ধর্মে সব দেব-দেবীরই পুজোর তিথি স্থির হয়। চাঁদের গতিপ্রকৃতির উপর নির্ভর করে এটি হয়ে থাকে। কিন্তু বিশ্বকর্মার পুজোর তিথি স্থির হয় সূর্যের গতিপ্রকৃতির উপর নির্ভর করে। যখন সূর্য সিংহ রাশি থেকে কন্যা রাশিতে গমন করে, তখনই সময় আসে উত্তরায়ণের। দেবতারা নিদ্রা থেকে জেগে ওঠেন এবং শুরু হয় বিশ্বকর্মার পুজোর আয়োজন।

বিশ্বকর্মা পুজো শ্রমজীবী মানুষের পুজো। তাঁকে স্থাপত্যের দেবতাও বলা হয়। শিল্প শহর হলদিয়াতেও (Haldia) প্রস্তুতি প্রায় শেষ। প্রতিবছরের মতো এবারও দুর্গাপুজোর মত করে পালিত হবে এবারের পুজো। থিম পুজোর বেশ রমরমাও রয়েছে। রাখা হয়েছে কড়া ট্রাফিক ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দর্শকের যাতে কোনো অসুবিধে না হয়, তার দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।