ইতিহাসের পাতায় অনেক মহান কৃতিত্বের কথা উল্লেখ রয়েছে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের পুত্র ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের। ১৬৮১ সালের ১৬ জানুয়ারি রাজ্যাভিষেক হয় সম্ভাজি মহারাজের। রায়গড়ে রাজ্যাভিষেক হয়েছিল তাঁর এবং মারাঠা সাম্রাজ্যের সিংহাসন হস্তান্তর করা হয় তাঁকে। স্বরাজ্যের স্বপ্ন পূরণের জন্য, শিবাজির মৃত্যুর ৯ মাস পর ছত্রপতির সিংহাসনে আরোহণ করেন সম্ভাজি। মারাঠা শাসকদের মধ্যে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের বীরত্ব ও সাহসিকতার খ্যাতি ভারতের পাশাপাশি রয়েছে সারা বিশ্বে। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের মতো একই গৌরব ও সাহস পেয়েছিলেন তাঁর পুত্র ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজও।
সমগ্র জীবন দেশ ও হিন্দু ধর্মের সুরক্ষা ও প্রচারের জন্য নিবেদিত করেছিলেন ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজ। ছোটবেলা থেকেই পিতা শিবাজি মহারাজের সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে যেতেন এবং শত্রুদের চ্যালেঞ্জ জানাতেন তিনি। রাজ্য রক্ষার জন্য যুদ্ধকলায় দক্ষতা অর্জন করেছিলেন তিনি। একজন ভালো ও সফল শাসক হওয়ার জন্য সকল কূটনৈতিক গুণাবলী ছিল সম্ভাজি মহারাজের। তাঁর সাহসিকতার জন্য 'দাক্ষিণাত্যের সিংহ' উপাধি পেয়েছিলেন তিনি। ইতিহাসের পাতায় অনেক মহান কৃতিত্ব লিপিবদ্ধ রয়েছে ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের।
ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের রাজ্যাভিষেক দিনটি মারাঠা সাম্রাজ্যের জন্য অত্যন্ত গর্বের দিন। রাজ্যাভিষেক দিবস দিনটি 'বীরত্ব দিবস' হিসেবেও পালন করা হয়। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের মৃত্যুর পর সংকটের সময়ে, মারাঠা সাম্রাজ্য পরিচালনা ও লালন-পালন করার পাশাপাশি প্রসারিতও করেছিলেন সম্ভাজি রাজে। ১৮ বছর বয়সে যুবরাজ হন এবং ২৩ বছর বয়সে ছত্রপতির মুকুট লাভ করেন সম্ভাজি মহারাজ। ১৬৮১ থেকে ১৬৮৯ সাল পর্যন্ত মারাঠা সম্রাট হিসেবে শাসন করেছিলেন তিনি। ১৬৮৯ সালের ১১ মার্চ তুলজাপুরে মৃত্যুবরণ করেন ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজ।