পঞ্জিকা অনুসারে, ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের ১১ তম দিনে পালন করা হয় আমলকী একাদশী উপবাস। আমলকী একাদশী রংভারী একাদশী নামেও পরিচিত। শিবপুরাণ অনুসারে, এই দিনে ভগবান শিব দেবী পার্বতীকে বিয়ে করার পর কাশীতে নিয়ে আসেন। স্বাগত জানাতে কাশীবাসী একে অপরের সঙ্গে রং খেলে এই দিনটি উদযাপন করে। রংভরি একাদশী থেকে হোলি উৎসব শুরু হয় কাশীতে।

আমলকী একাদশীর দিন ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গে পুজো করা হয় ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর। এই দিনে আমলা গাছের পুজো করার রীতি রয়েছে অনেক জায়গায়। মান্যতা রয়েছে, এমন করলে সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয় এবং বাড়িতে সমৃদ্ধি আসে। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান বিষ্ণু জন্ম দিয়েছিলেন আমলা গাছের। আমলা গাছের প্রতিটি অঙ্গে বিরাজ করেন ভগবান। এদিন আমলা গাছের নিচে বসে ভগবান নারায়ণের পুজো করলে পুণ্য লাভ হয়।

২০২৪ সালে আমলকী একাদশী শুরু হবে ২০ মার্চ, বুধবার, দুপুর ১২:২১ মিনিটে এবং শেষ হবে ২১ মার্চ, বৃহস্পতিবার, দুপুর ০২:২২ মিনিটে। এদিন সূর্যোদয়ের আগে স্নান করে পরিষ্কার পোশাক পরে ভগবান বিষ্ণুর ধ্যান, উপবাস ও উপাসনার সংকল্প নিতে হয়। এরপর একটি লাল বা হলুদ কাপড় বিছিয়ে তার উপর ভগবান বিষ্ণু ও দেবী লক্ষ্মীর মূর্তি স্থাপন করে পঞ্চামৃত দিয়ে ভগবান বিষ্ণুকে স্নান করাতে হবে। পুজো শেষে ভগবান বিষ্ণুর আরতি করে প্রসাদ বিতরণ করতে হবে। এই দিন অনেকে‌ ভগবান শিব ও দেবী পার্বতীরও পুজো করেন। পুজোর পরে গরীবদের খাবার খাওয়ানো অত্যন্ত পুণ্যের কাজ।