কলকাতা, ৯ এপ্রিল: চৈত্র মাস (Chaitra) শেষ হতে চলেছে। আর কদিন পরেই বাঙালিদের প্রিয় উৎসব পয়লা বৈশাখ (Poila Baishakh)। ব্যবসাদারদের হালখাতাই যেন জানান দেয় বাংলা নববর্ষ (Bengali New Year) হাজির। কিন্তু ১৮২৭-র প্রাকলগ্নে নেই নববর্ষের কোনও আনন্দ। রয়েছে শুধুই বিষাদের সুর। করোনা (Coronavirus) গ্রাস করেছে বাঙালির প্রিয় উৎসবকে। নতুন জামা কেনার ধুম নেই আজ। তাই তো গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, শ্যামবাজার, এসপ্ল্যানেড; কলকাতার এই শপিং হটস্পট গুলো। আরও পড়ুন: Lockdown Entertainment: '২০২০ সালটা ডিলিট করে আবার ইনস্টল করতে চাই', আবেগবিহ্বল অমিতাভ বচ্চন
করোনা সংক্রমণ রুখতে চলছে লকডাউন। দিনে একবার সকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য বাজার করেই ঘরে নিজেকে বন্দি করছেন সকলে। অনলাইন শপিংকে পাশ কাটিয়ে এসময়ে পায়ে হেঁটে শপিংয়েই অভ্যস্ত বাঙালি। এর জেরে নববর্ষের আগে একটু হলেও লাভের মুখ দেখত দোকানদার কিংবা হকাররা।কিন্তু করোনার গ্রাসে আজ ফুটপাথে নেই মানুষ, দেখা মেলেনি কোনও হকারেরও। ঘরবন্দি সেই সমস্ত হকার গুলোও, যারা ফুটপাথে দাঁড়িয়ে অনবরত চিৎকার করে বলতে থাকেন ছাড়! ছাড়! ছাড়!
হাতিবাগান মোড়ের এক হকারের কথায়, 'কী করব দিদি জানিনা। এই সময়টায় একটু ভাল রোজগার হত। করোনাভাইরাসের জন্য তো বাড়ি থেকে বেরোনোই দায় হয়ে গিয়েছে।' চৈত্র বৈশাখের কোনও সেলের প্ল্য়াকার্ডও লেখা হয়নি নতুন করে। রোদ-ঝড়-জল-বৃষ্টিতে সবই আজ ধূসর। নেই নববর্ষের সেই উল্লাস, নেই কেনাকাটি-খাওয়া দাওয়ার ব্যস্ততা।