দিল্লি, ২৫জুন: ফের হানি ট্র্যাপের (Honey Trap) ফাঁদ পেতে সেনা আধিকারিকদের বিপাকে ফেলতে চলেছে শত্রু দেশ। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে শুরু হয়ে গিয়েছে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টের বন্যা। সোমবারই সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা দপ্তরের কার্যালয় থেকে জওয়ানদের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা জারি হয়েছে। সাফ জানানো হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াগুলিতে সুন্দরীদের পাতা ফাঁদ থেকে দূরে থাকুন, বিপদ আসন্ন। গতবছর এমনই এক হানি ট্র্যাপের ফাঁদে পড়ে চাকরি খোয়ান এক জওয়ান, তাঁকে এখন কারাগারের অন্দরেই দিন কাটাতে হচ্ছে। আরও পড়ুন-এবার মুসলিম যুবকের মাথা কেটে নেওয়ার হুমকি দিলেন এই বিজেপি নেতা, কেন জানেন?
এদিকে হানি ট্র্যাপের খবর পেতেই তদন্তে নেমেছে গোয়েন্দা দপ্তরের ডিরেক্টরেট অফ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের কার্যালয়। তদন্তে এখন পর্যন্ত দুটি হানি ট্র্যাপের হদিশ মিলেছে। একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের অন্যটি ইনস্টাগ্রামের। ফেসবুকের অ্যাকাউন্টটির নাম ‘গুজ্জর সৌম্যা’ (‘Gujjar Soumya’) আর ইনস্টাগ্রামের অ্যাকাউন্টটি ‘ওয়িসোমিয়া’ (‘Oyesomya’) নামে। এই দুটি সোশ্যাল সাইটের অ্যাকাউন্টই বেশ সন্দেহজনক।সেনার গোয়েন্দা দপ্তরের দাবি, মূলত শত্রু দেশের গুপ্তচররাই এই ধরনের অ্যাকাউন্টগুলি চালায়। সেনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতাতেই এই হানি ট্র্যাপ কাজে লাগানো হয়। নিজেরাই সোশ্যাল সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে সেনা জওয়ান ও সেনা কর্তাদেরসঙ্গে ভাব জমায়। মূলত তাঁদের গতিবিধি ও কাজকর্মের খবরাখবর জানতে এরা কাজ করে। গল্প করার নাম করে মূল তথ্যের কিছুটা হাতিয়ে নেওয়ার পরই ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে এক হানি ট্র্যাপের খপ্পরে পড়েছিলেন রাজস্থানের জয়সলমেঢ় জেলার আর্মার্ড কর্পসের সিপাই সোমভীর সিং (Somveer Singh)। তদন্তে জানা গিয়েছিল পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) ওই হানি ট্র্যাপকে ব্যবহার করেছিল। সোমভীর কোথায় রয়েছেন, কী ধরনের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তা জানতেই এই বন্দোবস্ত করা হয়। পরে ভারতীয় সেনার গোয়েন্দা দপ্তরের নজরদারিতে ধরা পড়ে যান সোমভীর, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা দপ্তরের অ্যাডভাইসরি জানা গিয়েছে, ‘‘ফেসবুকে ‘গুজ্জর সৌম্যা’ নামে যে অ্যাকাউন্টটি খুলেছে হানি ট্র্যাপরা, তার প্রোফাইলে জানানো হয়েছে, ওই মহিলা সেনাবাহিনীর প্রয়াত ক্যাপ্টেন পবন কুমারের বোন। ওই মহিলার দাবি, তিনি এখন আইআইটি বোম্বের রিসার্চ স্কলার। তিনি নাকি ২০১৪-য় এনটিএসই এবং ২০১৬-য় আইআইটি জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা পাশ করেছিলেন।’’ বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তিত গোয়েন্দা দপ্তর, তাইতো জওয়ান ও আধিকারিকদের উদ্দেশ্য সতর্কবার্তা জারি হয়েছে।