Tree Plantation In Tamil Nadu: ৪ ঘণ্টায় ৬ লক্ষ গাছ পুঁতে বিশ্বরেকর্ড তৈরির উদ্যোগ তামিলনাড়ুর খাদ্যমন্ত্রীর
(Photo Credits: ANI)

চেন্নাই: ৪ ঘণ্টায় ৬ লক্ষ গাছ পুঁতে নতুন বিশ্বরেকর্ড (New World Records) করতে চলেছেন তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) খাদ্য ও সিভিল সাপ্লাই দপ্তরের মন্ত্রী (Food And Civil Supplies Minister) আর সাক্কারাপানি (R. Sakkarapani) এবং তাঁর দপ্তরের আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের (Chief Minister M K Stalin) গ্রীন তামিলনাড়ুর (Green-Tamilnadu) স্বপ্নকে সত্যি করার জন্য তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান।

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে সবুজায়নের লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে রাজ্যের বনাঞ্চলের সংখ্যা ২৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৩ শতাংশে নিয়ে যেতে চাইছেন। এই জন্য আগামী ২৩ ডিসেম্বর ১৬ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক দিন্দিগুল (Dindigul) জেলার ওড্ডানছাত্রম (Oddanchatram) বিধানসভার অন্তর্গত ইড্ডায়াকোট্টাই (Idayakottai) গ্রামে পুঁততে চলেছেন। এই প্রচার কাজে দিন্দিগুলি জেলা প্রশাসন ছাড়াও তাদের সাহায্য করবে হিন্দু রিলিজিয়াস অ্যান্ড চ্যারিটেবেল এনডোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, তামিলনাড়ু এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি, তামিলনাড়ু ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট ও এভারগ্রীন সিটি ক্লাব।

এপ্রসঙ্গে তামিলনাড়ুর খাদ্য ও সিভিল সাপ্লাই দপ্তরের মন্ত্রী আর সাক্কারাপানি বলেন, "প্রকৃতিকে রক্ষা করার জন্য ও সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য এই উদ্যোগ নিতে চলেছি আমরা। একটি জায়গায় মাত্র চার ঘণ্টায় ৬ লক্ষ গাছ পুঁতে মানুষকে সবুজায়নের প্রয়োজনীতা ও এই বিষয়টি জনপ্রিয় করতে তুলতে চাইছি। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন যে গ্রীন তামিলনাড়ু গড়ে তুলতে চাইছেন সেই উদ্যোগকে সফল করে তুলতেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আর এই বিষয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে ৪ ঘণ্টায় নির্দিষ্ট একটি জায়গায় সবথেকে বেশি সংখ্যক গাছ পোঁতা হবে। এই বিষয়টির স্বীকৃতি দেবে এলিট ওয়ার্ল্ড রেকর্ড (Elite World Records), এশিয়ান রেকর্ড অ্যাকাডেমি (Asian Records Academy), ইন্ডিয়া রেকর্ডস অ্যাকাডেমি (India Records Academy) ও তামিলিয়ান বুক অফ রেকর্ডস (Tamilan Book Of Records)। তবে শুধু বিশ্বরেকর্ড গড়া আমাদের লক্ষ্য নয়। গাছ মনুষ্য সমাজ ও এই পৃথিবীর জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করে তোলাই আসল উদ্দেশ্য। এই জন্য ৫২ হেক্টর জমিতে ৪ ঘণ্টায় ৬ লক্ষ গাছ পোঁতার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দুটি কুয়ো, দুটি পুকুর ও ছটি কল তৈরি করেছি।  আশাকরি এই জায়গা একদিন এই রাজ্যের আইকনিক পর্যটন কেন্দ্র (iconic tourist spot) হিসেবে সবার কাছে পরিচিত হয়ে উঠবে।"