নতুন দিল্লি, ১৩ ফেব্রুয়ারি: প্রার্থীদের বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলার (Criminal Cases) বিবরণ এবং তাদের কী কারণে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে তার কারণগুলি এবার ওয়েবসাইটে অবশ্যই আপলোড করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে (Political Party)। আজ এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court )। গত চারটি সাধারণ নির্বাচনের 'রাজনীতির অপরাধীকরণ' উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি ঘটেছে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। তারা বলেছে, রাজনৈতিক দলগুলিকে তাদের ওয়েবসাইটে এবং সোশাল মিডিয়ায় প্রার্থী বাছাইয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিশদ বিবরণ আপলোড করতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে।
ওয়েবসাইট ছাড়াও শীর্ষ আদালত রাজনৈতিক দলগুলিকে সংবাদপত্র এবং অন্যান্য সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রার্থীদের শংসাপত্র, সাফল্য এবং অপরাধমূলক মামলার বিবরণ প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের আরও নির্দেশ, প্রার্থী বাছাইয়ের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিশদ তথ্য নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, "প্রার্থীদের বাছাই করার কারণ যোগ্যতার ভিত্তিতে হওয়া উচিত, জয়ের যোগ্যতার ভিত্তিতে নয়।" আরও পড়ুন: Mamata Banerjee On CAA: ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসগুলি সার্ভে করছে: মমতা ব্যানার্জি
'রাজনীতির অপরাধীকরণ' ঠেকাতে আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় এবং অন্যরা সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতিরা বলেছেন, তাঁদের নির্দেশ না মেনে রাজনৈতিক দলগুলি যদি বিশদ বিবরণ দিতে ব্যর্থ হয় বা নির্বাচন কমিশন যদি এই নির্দেশ কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়, তবে তা আদালত অবমাননা বলে বিবেচিত হবে। নির্বাচন কমিশনকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, কোনও দল যদি তাদের প্রার্থীদের বিশদ বিবরণ জমা না দেয় তবে তারা যেন সুপ্রিম কোর্টের পিটিশন জমা করে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারতির সাংবিধানিক বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল যে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগে অপরাধের মামলা থাকা সমস্ত প্রার্থীদের মামলার তালিকা ঘোষণা করতে হবে। এছাড়া প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে অপরাধ মামলাগুলি সম্পর্কে প্রচার চালাতে হবে। এছাড়া বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে গুরুতর অপরাধে জড়িতদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং দলের নেতা হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা চাপাতে আইন আনার জন্য বলেছিল।