নতুন দিল্লি, ৪ মার্চ: ক্রিপ্টোকারেন্সির (cryptocurrency) উপরে ২০১৮-তে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। আজ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহারে কোনও বাধা নেই। সেই সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা তোলার নির্দেশও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। ‘অলীক মুদ্রার’ এই লেনদেনের নিষেধাজ্ঞাকে ‘অসমাঞ্জস্য’ বলে ব্যাখ্যা করল বিচারপতি আর এফ নরিম্যান, অনিরুদ্ধ বসু এবং রামাসুব্রহ্মণ্যমের ডিভিশন বেঞ্চ। আরবিআই-এর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকে বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয় ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (IAMI) এবং অন্যান্য অংশীদারিরা। ক্রিপ্টোকারেন্সি যেহেতু কোনও 'বৈধ মুদ্রা' নয়, তাই RBI কীভাবে তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে, প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে IMAI। তাদের দাবি, ক্রিপ্টোকারেন্সি মূলত এক ধরনের 'পণ্য'।
অন্যদিকে নিজেদের স্বপক্ষে রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে, ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে দেখছিল তারা। এবং এর আগেও এর ব্যবহার নিয়ে জনস্বার্থ বার্তা দেওয়া হয়েছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের উপর আরবিআইয়ের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের অধিকার নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলেন আইএএমআই-র আইনজীবী অসীম সুদ। তাঁর অভিযোগ, ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয় বলে আরবিআই যে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেয়, তা ভিত্তিহীন। ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ‘কারেন্সি’ বা মুদ্রা হিসাবে গণ্য করা উচিত নয় বলে জানান তিনি। এটি একটি লেনদেনের মাধ্যম বলে তাঁর মত। তবে, সুদের বক্তব্যের বিরোধিতা করে আরবিআই-এর আইনজীবী শ্যাম দিভান জানান, এটি একটি ডিজিটাল পেমেন্ট মাধ্যম ছিল, যার নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাও ছিল শীর্ষ ব্যাংকের হাতে। আরও পড়ুন- Coronavirus In India: তেলেঙ্গানার করোনা আক্রান্ত যুবকের সংস্পর্শে আসা ৩৬ জনের শরীরে মিলল সিওভিআইডি-১৯ এর উপসর্গ
বলা বাহুল্য, ক্রিপ্টোকারেন্সি আসলে বৈদ্যুতিন মুদ্রা, যা ভার্চুয়াল জগতেই লেনদেন হয়। বিটকয়েন তেমনই একটি জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি। ২০০৯ সালে প্রথম বিটকয়েন তৈরি হয় এবং পরের বছরেই ভার্চুয়াল জগতে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার শুরু হয়। এই ক্রিপ্টোকারেন্সি এতটাই সুরক্ষিত এবং গোপনীয়, বাজার দ্বারা নিয়ন্ত্রণ হয় না। দেশের কোনও ব্যাংকেরও নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা নেই। কিন্তু ডলার, পাউন্ড কিংবা রুপি দিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করা যায়। আর বিট কয়েন হল সবথেকে দামি ক্রিপ্টোকারেন্সি। ক্রিপ্টোগ্রাপির মাধ্যমে এই মুদ্রা তৈরি হয়। যাইহোক নিষেধাজ্ঞা ওঠায় সব থেকে স্বস্তিতে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিনিয়োগকারীরা।