জেএনইউ হামলা (Photo Credit: Facebook/PTI)

নতুন দিল্লি, ১৪ জানুয়ারি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU) ক্যাম্পাসে হামলার তদন্তে নয়া মোড়। হামলার আগে যে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) গ্রুপে আলোচনা হয়েছিল, সেই গ্রুপের সদস্যদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করতে দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। তদন্তের শুরুতেই JNU-এর হামলার আগে বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পরিকল্পনা ও আলোচনার স্ক্রিনশট তদন্তকারীদের হাতে আসে। এরমধ্যেই 'Unity Against Left' এবং 'Friends Of RSS' নামের এই দুটি গ্রুপের সদস্যদের তলব করে, তাঁদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, এর আগে JNU হামলা সম্পর্কিত তথ্য সংরক্ষণে গুগল ও হোয়াটসঅ্যাপকেও নোটিশ দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট।

তবে দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ এখানেই শেষ নয়। পুলিশকে আদালতের নির্দেশ, দুটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্যদের ডেকে পাঠাতে হবে এবং ভয়াবহ এই হামলার তদন্তের অংশ হিসাবে তাঁদের ফোনগুলি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। আদালত গুগল এবং হোয়াটসঅ্যাপকে আইন অনুসারে কাজ করতে এবং তদন্তের অংশ হিসাবে সমস্ত ডেটা, মেসেজ, ফোটো ইত্যাদি সংরক্ষণ এবং পুলিশকে সরবরাহ করতে বলেছে। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি ব্রিজেশ শেঠ্ঠি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রমোদ কুমারকে অনুরোধ করা হয়েছে তদন্তে দিল্লি পুলিশকে সাহায্য করতে ও সমস্ত তথ্য সরবরাহ করতে। কারণ পুলিশের তরফে গতকালই জানানো হয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের চিঠির জবাব দেয়নি। আরও পড়ুন: JNU Attack: CCTV ফুটেজ, মেসেজের সংরক্ষণের দাবিতে মামলা, হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগলকে নোটিশ দিল্লি হাইকোর্টের

সোমবার আদালত হোয়াটসঅ্যাপ, গুগল, ফেসবুক এবং অ্যাপলকে নোটিশ পাঠায়। তারা পুলিশ ও সরকারের কাছ থেকেও মতামত জানতে চেয়েছিল। হোয়াটসঅ্যাপ আজ আদালতকে জানিয়েছে যে এনক্রিপশন সিস্টেমের কারণে তারা মেসেজগুলি অ্যাক্সেস করতে পারবে না। হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী আদালতে বলেন,"আমাদের চ্যাটের কনটেন্টে অ্যাক্সেস নেই। কারণ এটি এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশনে কাজ করে। এটি অ্যাক্সেস এবং সংরক্ষণের একমাত্র উপায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ফোন সংরক্ষণ করলে।"