সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ (Photo Credits: ANI)

নতুন দিল্লি, ২০ ডিসেম্বর: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। দেশের সমস্ত বড় শহরের মানুষ পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। গতকাল রাতে পুলিশের গুলিতে দুই বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হওয়ায় ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে পারে উত্তরপ্রদেশে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাই আগেভাগে যোগীর রাজ্যে ইন্টারনেট, এসএমএস পরিষেবা বন্ধ করে দিল প্রশাসন। শুক্রবারেও কেরালা, কর্ণাটক ও উত্তরপ্রদেশে সাধারণ মানুষ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় পথে বসে পড়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এর জেরে ট্রাফিক ব্যবস্থ বিপর্যয়ের মুখে। কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসন। বিভিন্ন সংগঠন শুক্রবারেও বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতেই রাজধানী দিল্লি-সহ দেশের প্রত্যেকটি বড় শহরে জুম্মার নামাজ উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তার আয়োজন করেছে পুলিশ।

রীতিমতো ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। পুরোনো দিল্লির বেশ কয়েকটি মেট্রো স্টেশনের দরজা এখনও বন্ধই রাখা হয়েছে। দিল্লিতে যে সব এলাকায় তিনদিন আগে পর্যন্ত সিএএ বিরোধিতায় হিংসাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল সেইসব এলাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। মাঝে মাঝেই ফ্ল্যাগ মার্চ করছে পুলিশ। সেই ফ্ল্যাগ মার্চে দিল্লির যুগ্ম কমিশনার অবোক কুমার ও ডেপুটি কমিশনার বেদপ্রকাশ সূর্য ফ্ল্যাগ মার্চে উপস্থিত থাকছেন। সমস্ত অশান্তি ও গুজব রুখতে লখনউ-সহ উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবা বন্ধ রাখার সরকারি নির্দেশিকা জারি হয়েছে। লখনউতে যখন বিক্ষোভকারীরা পুলিশের উপরে পাথর ছুঁড়ছিল, সেই সময় পুলিশের গুলিতে এক বছর পঁচিশের যুবকের মৃত্যু হয়। কর্ণাটক ও কেরালাতে (Kerala) বিক্ষোভে কেন্দ্র করে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে। আরও পড়ুন-Narendra Modi At Assocham:গত ৬ বছরে খাদের কিনারে থাকা ভারতীয় অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করেছে বিজেপি সরকার, নরেন্দ্র মোদি

কোঝিকোড়ে কংগ্রেস সমর্থকরা টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোদ করে বিক্ষোভ দেখায়। অন্যান্যরা আবার অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুল দাহ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করে কেরালা পরিবহন দপ্তর মেঙ্গালুরুতে বাস পরিষেবা বন্ধ রেখেছে। একমাত্র পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণে আসলেই ফের বাসপরিষেবা স্বাভাবিক হবে বলে খবর। বৃহস্পতিবার খবর এসেছিল, বিক্ষোভ থামাতে শূন্যে গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিল পুলিশ। রাত না পেরোতেই খবর এল, পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন দুই বিক্ষোভকারী। ম্যাঙ্গালোরের এই ঘটনায় চরম অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণ ভারত জুড়ে।