Photo Credit: Wikipedia

নয়াদিল্লি: ২৫ বছর আগে খুনের (Murder) অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (life imprisonment) সাজা হয়েছিল মহম্মদ মুসলিম ও তাঁর ছেলে শামসাদের। জেলে থাকা অবস্থাতেই ট্রায়াল কোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন জানিয়ে ছিলেন তাঁরা। সেই আবেদনের শুনানি চলাকালীনই জেলবন্দি অবস্থায় মৃত্যু হয় শামসাদের। তবে শুনানি শেষ হওয়ার পর সুবিচার পেলেন তাঁর বাবা মহম্মদ মুসলিম। এফআইআরে মধ্যে অনেক খামতি লক্ষ্য করে তাঁকে বেকসুর খালাস (acquitted) করল সুপ্রিম কোর্টে ডিভিশন বেঞ্চ।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ভি রামাসুব্রমণিয়ম ও বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তলের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছে। বিচারপতিরা এফআইআর (FIR) খতিয়ে দেখে জানান, এফআইআরে উল্লেখ রয়েছে খুন হয়েছিল ১৯৯৫ সালের ৪ আগস্ট সকাল ৯টাতে। কিন্ত, বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যায় খুন হয়েছিল দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে। শুধু তাই নয়, মৃতদেহের ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রেও অযথা বিলম্ব করেছিল পুলিশ। সেই সঙ্গে যে অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ এফআইআরে উল্লেখ করেছিল তাতে অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন বিচারপতিরা। তারপরই তারা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মহম্মদ মুসলিমকে বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দেন।

উত্তরপ্রদেশের একটি ট্রায়াল কোর্টে (trial court) মামলাটি ওঠার পর ১৯৯৮ সালে বাবা ও ছেলে দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। আসামিরা এই রায়ের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টে (Allahabad High Court) আবেদন জানালেও হাইকোর্ট ট্রায়াল কোর্টের রায়কেই বহাল রাখে।

এরপর ২০১১ সালে এই রায়ের বিরুদ্ধে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান মহম্মদ মুসলিম ও তাঁর ছেলে। এর শুনানি চলাকালীন ২০২১ সালে মৃত্যু হয় শামসাদের। আর তাঁর বাবা মহম্মদ মুসলিম ৬ বছর জেল খাটার পর ২০১৩ সালে জামিনে মুক্ত হন। বর্তমানে তাঁর বয়স ৭৯ বছর। আরও পড়ুন: Opposition Meeting: বৈঠকে থেকেও বিরোধী জোটের সাংবাদিক সম্মেলনে এল না আপ, পরবর্তী বৈঠক জুলাইয়ে সিমলায়