মহারাষ্ট্র, অসম, হিমাচলপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড সহ দেশের ১৩টি রাজ্যে নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ করা হল। কংগ্রেস শাসিত তিন রাজ্যেই রাজ্যপাল বদল হল। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার অসমে রাজ্যপাল হিসেবে আনা হল রাজস্থান বিজেপির শীর্ষ তথা বিরোধী দলনেতা গুলাব চাঁদ কাটারিয়া-কে। রাজনৈতিক দিক থেকে অস্থির মহারাষ্ট্রের নতুন রাজ্যপাল হচ্ছেন রমেশ রাইস। একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যে মারাঠি ভাবাবাগে আঘাত দেওয়া বিতর্কিত ভগত সিং কোশিয়ারি নিজে থেকেই মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল হিসেবে সরে যেতে চেয়েছিলেন। এবার তাঁর জায়গায় আনা হচ্ছে রমেশ বাইসকে। যে রমেশ বাইস এতদিন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবে কাজ করছিলেন। অটল বিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় পরিবেশ ও বনমন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন রমেশ।
ক মাস আগেই নতুন মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছে হিমাচলপ্রদেশ, এবার সেখানে আসতে চলেছে নতুন রাজ্যপাল। কংগ্রেস শাসিত হিমাচলের রাজ্যপাল হচ্ছেন শিবপ্রতাপ শুক্লা। বর্তমানে হিমাচলের রাজ্যপালে রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আরলেকারকে পাঠানো হচ্ছে বিহারের রাজভবনের দায়িত্বে। হিমাচলে বিজেপি থেকে কংগ্রেসের হাতে সরকার আসতেই বদলে গেল রাজ্যপাল। আরও পড়ুন-নয়া সমীকরণ! কলকাতায় এসে মমতার ভূয়সী প্রশংসা গুলাম নবি আজাদের
ইউপিএ শাসিত ঝাড়খণ্ডের নতুন রাজ্যপাল হিসেবে আনা হচ্ছে সিপি রাধাকৃষ্ণণকে। অন্ধপ্রদেশের বর্তমান রাজ্যপাল বিশ্বভূষণ হরিচন্দনকে কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড়ের দায়িত্ব দিয়ে, ওয়াইএস আর রেড্ডির রাজ্যে রাজভবনে পাঠানো হচ্ছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস আব্দুল নাজিরকে। আবার ছত্তিশগড়ের বর্তমান রাজ্যপাল মনীপুরের রাজভবনে পাঠানো হল। আবার বিহারের বর্তমান রাজ্যপাল ফাগু চৌহানকে পাঠানো হল মেঘালয়ের দায়িত্বে।
অসমের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কিছু রাজ্যেও নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্য হচ্ছেন সিকিমের রাজ্যপাল। ক মাস আগে বাংলা ও মনীপুরের অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ হওয়া এল গণেশনকে নাগাল্যান্ডের স্থায়ী রাজ্যপালের দায়িত্ব দেওয়া হল। প্রসঙ্গত, জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি হওয়ায় তাঁর জায়গায় বাংলা ও মণীপুরের অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে এল গণেশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারপর বাংলার স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে আনা হয় সিভি আনন্দ বোসকে।