জয়পুর, ২৫ জানুয়ারি: কংগ্রেসশাসিত (Congress Ruled) রাজস্থান (Rajasthan) আজ সিএএ (CAA) নিয়ে প্রস্তাব পাস করে। কেরালা (Kerala) এবং পঞ্জাবের (Punjab) পর তৃতীয় রাজ্য যারা সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রস্তাব ঘোষণা করল। কয়েকদিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করে। বিচারপতিরা বলেন, স্থগিতাদেশ দেওয়া উচিত কিনা, তা স্থির হবে সরকারপক্ষের কথা শোনার পরে। নিজের বক্তব্য পেশ করার জন্য সরকারকে চার মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে স্থির করতে হবে সিদ্ধান্ত।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বারবার জানিয়ে দিয়েছেন তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন। যার যা খুশি করে নিক। সিএএ তিনি এনেই ছাড়বেন। বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি এমনই চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন। তবে এর বিরুদ্ধে কংগ্রেস নানা পন্থায় বিরোধিতা করছে। কংগ্রেসশাসিত রাজ্যগুলি যে এই আইনের প্রত্যাহার করবে তারা তা জানিয়েছিল।
মমতা ব্যানার্জি থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের নাম করেও চ্যালেঞ্জ ছোড়েন তিনি। তিনি বারবার বলেন বিরোধীরা ভোটব্যাঙ্কের জন্য সিএএ-র বিরোধিতা করছে। তারা বাস্তবটা দেখতে পাচ্ছেনা। অন্যদিকে কংগ্রেস সব অবিজেপি দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করে সিএএ-র বিরুদ্ধে লড়ার প্রস্তাব দেয়। যে আলোচনাঃয় হাজির হননি মমতা ব্যানার্জি, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মায়াবতী। সিএএ বিরোধিতা করলেও পাশে নেই এঁদের দলগুলি।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আইনজীবী কপিল সিব্বল আর্জি জানান, যতদিন না সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শেষ না হয়, ততদিন যেন সিএএ কার্যকর না করা হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই আর্জিতে সায় দেয়নি। মামলাকারীদের দাবি, নতুন আইন সেই সংবিধানকে আঘাত করছে। এই আইন নাগরিকদের জীবন ও মৌলিক অধিকার তথা সাম্যের অধিকারও লঙ্ঘন করছে।