সুপ্রিম কোর্ট (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ২৫ জানুয়ারি: রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (President Ram Nath Kovind) প্রাণভিক্ষার আবেদন (Mercy plea) প্রত্যাখ্যানকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন নির্ভয়াকাণ্ডে আসামি মুকেশ সিং (Mukesh Singh)। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ১৬ জানুয়ারি নির্ভায়া গণধর্ষণ মামলায় দোষী মুকেশের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছিলেন। দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ় কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, এই মামলায় চার আসামির ফাঁসি ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টায় কার্যকর হওয়ার কথা।

এদিকে আজ তিহার জেল কর্তৃপক্ষের আইনজীবী দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ় কোর্টে দাবি করেছেন যে দোষীরা কেবল সময় বিলম্বিত কৌশল অবলম্বন করছে। ২০১২ সালের নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির মধ্যে দু'জনের পক্ষে হাজির হওয়া অ্যাডভোকেট শুক্রবার পতিয়ালা হাউজ় কোর্টে অভিযোগ করেছিলেন যে তিহার জেল কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট নথি হস্তান্তরে বিলম্ব করছে। অ্যাডভোকেট এপি সিং একটি আবেদন করে অভিযোগ করেন যে জেল কর্তৃপক্ষ অক্ষয় কুমার সিং এবং পবন সিং-র জন্য প্রাণভিক্ষার পিটিশন দাখিল করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এখনও তাদের হাতে তুলে দেয়নি। সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি অন্য দুই দোষী বিনয় ও মুকেশ সিং-র কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ করে দিয়েছিল। আরও পড়ুন: Bihar: পাটনার কলেজে পরা যাবে না বুরখা, ড্রেসকোড না মানলে দিতে হবে জরিমানা

আজ দিল্লির পতিয়ালা হাউজ় কোর্ট বলেছে যে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আইনজীবীর আবেদনের বিষয়ে আর কোনও নির্দেশের প্রয়োজন নেই। শনিবার শুনানি চলাকালীন, তিহার জেল কর্তৃপক্ষের আইনজীবী আদালতকে বলেন যে তারা এই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আইনজীবীর তরফে চাওয়া সমস্ত প্রাসঙ্গিক নথি সরবরাহ করেছে।

এরপরই সরকারি আইনজীবী বলেন, "দণ্ডপ্রাপ্তরা এই আবেদনগুলি দায়ের করে বিলম্বিত কৌশল অবলম্বন করছেন। পুরো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন। আমরা ইতিমধ্যেই সমস্ত নথি সরবরাহ করেছি। আসামিদের যে সমস্ত জেলে রাখা হয়েছিল সে সব নথি সংগ্রহ করেছি আমরা।"