প্রণব মুখার্জি ও শর্মিষ্ঠা মুখার্জি (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ৩১ অগস্ট: সোমবার বিকেলে ৮৪ বছর বয়সে জীবনাবসান হয় (Passes Away) প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির (Former President Pranab Mukherjee)। দিল্লির আর্মি রিসার্চ ও রেফারাল হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে লাইফ সাপোর্টে রাখার পর আজ তাঁর প্রয়াণ হয়। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল থেকে আপামর দেশবাসী। তাঁর কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখার্জি (Sharmishta Mukherjee) বাবার প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করে রক্ত টুইট করেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ করে তিনি লিখেছেন,"সবারে আমি প্রনাম করে যাই। তোমার প্রিয় কবিকে উদ্ধৃত করে সবার কাছে তোমায় চূড়ান্ত বিদায় জানালাম। তুমি জাতির সেবায়, জনগণের সেবায় নিজেকে সমর্পন করে দিয়ে গেছ। তোমার সন্তান হয়ে আমি গর্বিত। "

আজ সকালে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ফুসফুসের সংক্রমণের জেরে সেপটিক শকে ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। রবিবার থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। রক্তচাপও খুব কম হয়ে যায়। অবশেষে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। তাঁর পুত্র অভিজিৎ মুখার্জি টুইটে এই খবর জানান। বর্ষীয়ান নেতাকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল সহ আপামর দেশবাসী। আরও পড়ুন, প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে রাজনীতি থেকে বিনোদন জগতে শোকের ছায়া, টুইটে শোকপ্রকাশ দেব থেকে লকেট চ্যাটার্জি

দীর্ঘ কর্মজীবনে একাধিক চরাই উৎরাইয়ের সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। বিরোধীদের তো বটেই দলের মধ্যেও সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রণব মুখার্জি। তবে সবসময়ই সৌজন্যতার মাধ্যমে সবকিছুর মোকাবিলা করেছেন তিনি। দেশের কঠিন সময়ে রাজনীতির হাল নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি। সর্বোচ্চ রাজনীতিক হিসেবে সকলের মাথার উপরে ছাতা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন তিনি সবসময় কঠিন পরিস্থিতিতেও। ১৯৮০ সালে দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তবে সাড়ে তিন দশকেরও বেশি সময় রাজনীতির মধ্যে নিজেকে জড়িয়ে রাখলেও প্রণববাবু ছিলেন সেকেন্ড ইন কম্যান্ড।