মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই রাজ্য জুড়ে তীব্রতর হচ্ছে নির্বাচনী প্রচার। গতকাল ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ দিন। দেখা গেছে নির্বাচনে মোট ৪১৪০ জন প্রার্থী ২৮৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রবীণ নেতারা ভোটারদের মন জয় করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। আজ মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে শিবসেনা প্রার্থী মহেশ শিন্ডের সমর্থনে সাতারার কোরেগাঁওয়ে একটি নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিয়েছেন। উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীসও নাগপুর দক্ষিণ-পশ্চিম কেন্দ্রে একটি বিশাল সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন। এই কেন্দ্রে তিনি টানা তিন মেয়াদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
দলীয় প্রধান অজিত পাওয়ারের সমর্থনে এনসিপি প্রার্থী নবাব মালিক মানখুর্দ-শিবাজিনগর থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, তিনি আজ তার প্রচার শুরু করবেন। নবাব মালিক মহাযুতি প্রার্থী সুরেশ পাতিলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এনসিপি (এসপি) সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার বারামতির শিরসুফল গ্রামে নিজের প্রচার শুরু করেছেন। বারামতি থেকে দলীয় প্রার্থী যুগেন্দ্র পাওয়ারকে সমর্থন করতেই তিনি সেখানে পৌঁছেছেন। জোটের অন্যতম সদস্য কংগ্রেসের তরফে সাংসদ রাহুল গান্ধী আগামীকাল নাগপুর এবং মুম্বাইতে নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দেবেন।
অন্যদিকে রবিবার রাতে ১০ থেকে ১৫টি আসনে লড়ার পরিকল্পনা ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন মারাঠা কোটার বিশিষ্ট কর্মী মনোজ জারাঙ্গে-পাতিল। জারাঙ্গ-পাতিল ২৫টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন এবং পার্তুর, কাইজ, ফুলম্বরি, পাথ্রি, হিঙ্গোলি, হাদগাঁও, দৌন্দ, পার্বতী, পাথরদি এবং কোপারগাঁও সহ ১৪টি আসনে চূড়ান্ত করেছিলেন। নির্বাচনে সড়ে আসার সিদ্ধান্তটি বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় মহায়ুতি এবং এমভিএ উভয় প্রার্থীকেই প্রভাবিত করতে পারে।