নয়া দিল্লি, ১৭ ডিসেম্বরঃ সোমবারই লোকসভায় পেশ হওয়ার কথা ছিল 'এক দেশ এক ভোট' সংক্রান্ত বিল (One Nation One Election Bill)। লোকসভার কর্মসূচিতে প্রাথমিকভাবে তা রাখাও হয়েছিল। সাংসদদের মধ্যে বিলের প্রতিলিপি বণ্টনও করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে সংশোধিত কর্মসূচি থেকে বিলটি সরিয়ে নেওয়া হয়। সোমবার বিলটি পেশ হয়নি ঠিকই কিন্তু চলতি অধিবেশনে তা আর আনা হবে না এমন কোন নিশ্চয়তা কিন্তু ছিল না। রাজনৈতিক শবিরের আশঙ্কা সত্যি করে আজ মঙ্গলবার সংসদের অধিবেশনে নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সরকার পেশ করল 'এক দেশ এক ভোট' সংক্রান্ত বিল। বিরোধীদের আপত্তি উপেক্ষা করেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল বিলটি সংসদের নিম্নকক্ষে পেশ করেছেন। আর তারপরেই বিতর্কিত বিল ঘিরে লোকসভার (Lok Sabha) অন্দরে হট্টোগোল শুরু করেন বিরোধীরা।
মঙ্গলবার লোকসভায় সংবিধান (১২৯তম সংশোধনী) বিল ২০২৪ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধন) বিল ২০২৪ পেশ করা হয়েছে। বিলটি প্রাথমিকভাবে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠাতে চায় কেন্দ্র সরকার। সেখান থেকে রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) পেশ হয়ে তারপর নির্দিষ্ট পথে বিল পাশ হবে, এমনই পরিকল্পনা মোদী সরকারের। কিন্তু লোকসভায় 'এক দেশ এক ভোট' (One Nation One Election) বিল পেশ হতেই সরব হয় সংসদের তিন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস (Congress), তৃণমূল (TMC) এবং সমাজবাদী পার্টি (SP)। বিরোধীদের অভিযোগ, এই বিলের মাধ্যমে দেশে একনায়কতন্ত্র শাসন চালানোর পরিকল্পনা করছে গেরুয়া শিবির।
বিরোধীরা যখন এই বিলের বিরোধীতায় সরব তখন টিডিপি, একনাথ শিন্ডের শিবসেনা-সহ বিজেপি ঘেঁষা দলগুলো নিজেদের সমর্থন জানিয়েছে। সরকারপক্ষের যুক্তি, ভোটের খাতে বিপুল অঙ্কের খরচে হ্রাস টানতে এই বিলের জুড়ি মেলা ভার। যদিও বিরোধীদের পালটা অভিযোগ, লোকসভা, বিধানসভা, পুরসভা, পঞ্চায়েত সর্বস্তরের ভোট একসঙ্গে হলে গণতন্ত্রের বৈচিত্র্য নষ্ট হবে। মোদী সরকারের 'এক দেশ এক ভোট' (One Nation One Election) নীতিকে আসলে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী বলে দাবি করছে বিরোধী শবিরগুলো।