বাংলার রসগোল্লার মালিকানায় বসল ভাগ, ওড়িশা পেল জিআই ট্যাগ
রসগোল্লা(Photo Credit: Twitter)

চেন্নাই, ২৯ জুলাই: রসগোল্লা শুধু বাংলার একথা আর বলতে পারবেন না। বললেও তা অত্যুক্তিই হবে। কেননা এবার ওড়িশাকেও রসগোল্লার উৎসস্থল হিসেবে মেনে নিল গোটা দেশ। সোমবারই জিআই ট্যাগের জন্য ওড়িশার নাম নথিভুক্ত করল চেন্নাইয়ের জিআই রেজিস্ট্রির অফিস। তাদের ওয়েবসাইটেই দেখা গেল রসগোল্লার জনক রাজ্য হিসেবে বাংলার সঙ্গেই জি আই ট্যাগ ভাগাভাগি করে নিয়েছে ওড়িশা। ওড়িশা অংশিদার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রসগোল্লার একচেটিয়া খ্যাতি থেকে বাংলাও সরে গেল।

ওড়িশায় জগন্নাথদেবের নামের সঙ্গেই রসগোল্লার ইতিহাস জড়িত। তবে বাঙালি তা মানবে কেন। তাইতো মালিকানা নিয়ে দড়ি টানাটানি কম হল না। ওড়িশা সরকারের তরফ থেকে আগেই দাবি করা হয়েছিল যে ১২ শতক থেকেই সেখানে রসগোল্লা রয়েচে। জগন্নাথ দেবের মাসিবাড়ি থেকে স্বগৃহে প্রত্যাবর্তনের সময় থেকেই রসগোল্লা বিতরণের প্রথা চালু রয়েছে ওড়িশায়। কিন্তু তার সপক্ষে কোনও লিখিত প্রমাণ না দিতে পারায় জিআই ট্যাগ প্রাপ্তি থেকে সে যাত্রায় ওড়িশা বঞ্চিত থেকে গিয়েছিল।

সেকারণে পশ্চিমবঙ্গের তরফ থেকে রসগোল্লার ওপর জিআই ট্যাগের জন্য আবেদন করার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ওড়িশার তরফ থেকে দাবি করা হয় এমন ভুবনমোহিনী মিষ্টিটির উৎসভূমি মহানদীর তীরবর্তী অঞ্চলে। তাদের দাবির সপক্ষে তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করার জন্য ওড়িশা সরকার একটি কমিটিও গঠন করে। কিন্তু যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য প্রমাণ সেই কমিটি সংগ্রহ করতে না পারায় জিআই ট্যাগ সে যাত্রায় হাতছাড়া হয়ে যায়।অন্যদিকে নবীন চন্দ্র দাশের (জন্ম: ১৮৪৫) দৌলতে রসগোল্লা আবিষ্কারের দৌড়ে পশ্চিমবঙ্গ ২০১৭ সালে নভেম্বরে এই অভিনব মিষ্টির উৎসভূমির শিরোপা পেয়ে যায়। এই সাময়িক পরাভবে হতোদ্যম না হয়ে ওড়িশার সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণারত অসিত মহান্তি উদ্ধার করতে থাকেন স্বরাজ্যের সমর্থনে নানা প্রমাণ। এবার তারই স্বীকৃত মিলল।