আগ্রা, ১২ ফেব্রুয়ারি: জাল নথির সাহায্যে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট (Fake Account) খুলে বিভিন্ন ব্যাংককে প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। বছর ১৯-এর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চড়া দামের ইলেক্টনিক পণ্য কিনতে অর্থলগ্নিকারী সংস্থাগুলিকেও ধোঁকা দিয়েছে ধৃত যুবক। ধৃতের পরিচয় জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের হাথরসের বাসিন্দা সে। নাম যোগেশ কুমার। ধৃত যুবক বিএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র। জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক সবমিলিয়ে প্রায় ১০টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। এই তালিকায় রয়েছে অ্যাক্সিস ব্যাংক, আইডিবিআই, আইসিআইসিআই, ইন্ডাসইন্ড ব্যাংক। এমনকী বাজাজ ফাইনান্স ও এইচডিএফসি ব্যাংকে ঋণের আবেদন করেছে সে। আরও পড়ুন-Air Fare Hike: আন্তঃরাজ্য বিমান চলাচলে ৩০ শতাংশ বাড়ল টিকিট মূল্য, করোনার বাজারে বেজায় বিপাকে মধ্যবিত্ত
এই প্রসঙ্গে আগ্রার সাইবার ক্রাইম অফিসার বিজয় তোমর বলেছেন, “ধৃতের কাছ থেকে দুটো মোবাইল ফোন, তিনটি এলইডি টিভি, একটি জিম মেশিন, একটি সোনির হোম থিয়েটার, তিনটে ভুয়ো আধারকার্ড, ও একটি অ্যাপলের ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত সম্ভ্রান্ত পরিবারে ছেলে হয়েও খুব অল্প সময়ে অনেক টাকা কামাতে চেয়েছিল। যোগেশ কুমার যে রীতিমতো পুকুর চুরি করছে তা প্রকাশ্যে আসে যখন বাজাজ ফাইনান্স কোম্পানির ম্যানেজার জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করেন। জানা যায়, আগ্রা, আলিগড়, গৌতমবুদ্ধ নগর, মথুরা ও দিল্লি থেকে ভুয়ো নথি দেখিয়ে অজ্ঞাতপরিচয় এক জন ঋণ নিয়েছে। জালিয়াতি তখনই ধরা পড়ে যখন প্রোডাক্টের ইএমআই সময় মতো আসল না।”
ওই যুবকের মূল লক্ষ্য ছিল, ভুয়ো আধার কার্ডে নিজের ছবি বসানো। তারপর নতুন সিমকার্ড তুলে ওটিপি নেওয়া। এভাবেই চলছিল হাত সাফাই। পিভিসি কার্ড প্রিন্টারের সাহায্যে আধার কার্ডের হার্ড কপি বের করে তাই দিয়েই বার বার ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলত সে। এমনকী লোনের জন্য আবেদন করার আগে কাস্টমার ক্রেডিট স্কোরও চেক করেছিল যোগেশ কুমার। জদিশপুরা থানার তরফে জানানো হয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পাশি তদন্তও চলছে।