নয়া দিল্লি, ২১ জুলাই: গতকাল, শনিবার দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। দিল্লির রূপকার হিসেবে পরিচিত শীলা দীক্ষিতের আজ পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। দুপুর আড়াইটে-তে নিগাম বোধ ঘাটে শীলা দীক্ষিতের শেষকৃত্যে হাজির থাকবে আম জনতা থেকে ভিভিআইপি, রাজনীতিবিদরা। তার আগে আজ তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সকাল ১০টা থেকে সাধারণ মানুষদের জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আজ সকাল ১০টা থেকে শীলা দীক্ষিতের মরদেহ তাঁর বাসভবনে শায়িত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, প্রাক্তন প্রধামন্ত্রী মনমোহন সিং-রা তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে হাজির থাকবেন। শেষকৃত্যে যাওয়ার আগে তাঁর মরদেহ কংগ্রেসের সদর দফতরে আনা হবে। আরও পড়ুন-২১শে জুলাই তৃণমূলের সভা লাইভ আপডেট
শীলা দীক্ষিতই দেশের সবচেয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। টানা তিন দফায় মোট ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে দিল্লির ভোলবদলে দিয়েছিলেন।
শীলা দীক্ষিতের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় রাজনাথ সিংও শীলা দীক্ষিতের প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন।
গতকাল দুপুর ৩.৫৫ নাগাদ দিল্লির এক হাসপাতালে কার্ডিয়াক অ্য়ারেস্টে ৮১ বছর বয়েসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। ১৯৯৮ থেকে ২০১৩- দীর্ঘ ১৫ বছর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শীলা দীক্ষিত। ২০১৩ দিল্লি লোকসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে ভোটে হেরে তিনি দিল্লির সিংহাসন হারিয়েছিলেন।
তাঁর আমলে দিল্লি একেবারে আধুনিক শহর হয়ে ওঠে। কিছু নীতির বিরোধিতা করলেও দিল্লির উন্নয়নের পিছনে শীলা দীক্ষিতের প্রশংসা করতেন বিরোধী নেতারাও। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিত্ব পদ যাওয়ার পর, তিনি ২০১৪ সালে তিনি কেরলের রাজ্যপালও হয়েছিলেন।