কাশি হলে বেশিরভাগ মানুষই কাশির সিরাপ ব্যবহার করেন। আপনিও যদি কাশির সময় কাশির সিরাপ (Cough Syrup) ব্যবহার করেন, তাহলে এই খবর আপনাকে চিন্তায় ফেলতে পারে। দেশে কাশির সিরাপ প্রস্তুতকারী অর্ধশতাধিক কোম্পানি মান পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ১৪১ শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে ভারতের তৈরি কাশির সিরাপ দায়ী বলে অভিযোগ করা হয়েছে। উজবেকিস্তানের ১৯ শিশুর মৃত্যুর জন্য ভারতের তৈরি সিরাপকে দায়ী করা হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছিল যে গাম্বিয়ায় প্রায় ৭০ জন শিশুর মৃত্যুর জন্য ভারতের তৈরি কাশি এবং সর্দি সিরাপ দায়ী হতে পারে। এরপর ভারতে তৈরি কাশির সিরাপ নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে গিয়েছিল। গত ১ জুন মাস থেকে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (DGFT) রপ্তানিকারকদের জন্য তাদের কাশির সিরাপ সরকারি পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা এবং রপ্তানির আগে বিশ্লেষণের শংসাপত্র (COA) নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে। আরও পড়ুন: HC on Deepfakes: অসীম বিশ্বে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা নেই আদালতের, জানাল দিল্লি হাইকোর্ট
ফুড অ্যান্ড ড্রাগ ল্যাবরেটরি গুজরাট ৩৮৫টি নমুনা বিশ্লেষণ করেছে, যার মধ্যে ২০টি নির্মাতার ৫১টি গুণমান পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। একইভাবে, মুম্বইয়ের সেন্ট্রাল ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরি ৫২৩টি নমুনা বিশ্লেষণ করেছে, যার মধ্যে ১০টি কোম্পানির ১৮টি নমুনা পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।
চণ্ডীগড়ের আঞ্চলিক ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরি ২৮৪টি পরীক্ষার রিপোর্ট জারি করেছে এবং ১০টি ফার্মের ২৩টি নমুনা নিম্নমানের। গাজিয়াবাদের ভারতীয় ফার্মাকোপিয়া কমিশন ৫০২টি রিপোর্ট জারি করেছে, যেখানে ৯টি কোম্পানির ২৯টি নমুনা মান পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।