নয়া দিল্লি, ২৯ ডিসেম্বরঃ করোনার নয়া উপ-প্রজাটি জেএন.১-এর (Corona Virus JN.1 Variant) দাপট ক্রমেই বেড়ে চলেছে। দেশজুড়ে বড়দিন, নববর্ষের উৎসবের মাঝে হু হু করে বেড়ে চলেছে জেএন.১-এ (JN.1) আক্রান্তের সংখ্যা। কোভিড (Covid 19) সতর্কতা ভুলে বড়দিন, নববর্ষ উপলক্ষ্যে দেশে চলছে বিপুল জনসমাগম। বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঊর্ধ্বমুখী জেএন.১ সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ২১ নভেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বর অল্পকয়েক দিনের ব্যবধানেই দেশে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট জেএন১ আক্রান্ত সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ১৪৫।
নতুন বছরের আগেই ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা ভাইরাস (Corona Virus)। দেশজুড়ে ফের করোনার দাপট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যমহলে তৈরি হয়েছে চিন্তার ভাজ। দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে এই মুহূর্তেই দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সামনেই বর্ষবরণ। আর নতুন বছরের আগমনেও জনসমাগনে মেতে উঠবে দেশবাসী। ফের কিছুটা বাড়বে জেএন১ আক্রান্ত সংখ্যা। শিশু, বয়স্ক এবং অন্যান্য রোগ রয়েছে যাদের, তাঁদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই মাস্ক পরতে এবং জনবহুল এলাকা এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য মহল।
পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) এই মুহূর্তে জেএন১ আক্রান্ত খোঁজ মেলেনি। তাই জন্যেই কি বড়দিন উপলক্ষ্যে পার্ক স্ট্রিটে (Park Street) জন সমুদ্র নামিয়েছিল বঙ্গবাসী! গত সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকায় প্রথম করোনার নতুন উপপ্রজাতি জেএন ১-এর (JN.1) খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। দুমাসের ব্যবধানেই দেশে হানা নেয় এই ভ্যারিয়েন্ট। ভারতে জেএন ১-এর প্রথম খোঁজ মিলেছিল কেরলে। অল্প দিনের মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা ১ থেকে ১৪৫-এ পৌঁছে গিয়েছে।