CAA: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি ভারতের নাগরিক? তথ্যের অধিকার আইনে জানতে চাইলেন কেরালার ব্যক্তি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। (Photo Credits: PTI)

থ্রিসুর, ১৭ জানুয়ারি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (NRC) নিয়ে উত্তাল ভারত। এরই মধ্যে কেরালার এক ব্যক্তি তথ্যের অধিকার আইনে (RTI) পিটিশন দাখিল করে জানতে চেয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ভারতের নাগরিক কি না। এবং তা হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় নথিপত্র দিয়ে সেটি প্রমাণ করতে পারবেন কি না। খবরে প্রকাশ, গত ২৩ ডিসেম্বর কেরালার থ্রিসুর (Thrissur district) জেলার চালাকুদ্য (Josh Kalluveettil) এলাকার বাসিন্দা যোশি কাল্লুভিত্তিল কেরালা পাবলিক ইনফরমেশন অফিসারের কাছে তথ্যের অধিকারের প্রেক্ষিতে একটি অনুসন্ধানের আবেদন দাখিল করেন।

চালাকুদ্য পৌরসভার এক আধিকারিক জানান, ওই আবেদন নতুন দিল্লির সেন্ট্রাল পাবলিক ইনফরমেশন অফিসারের কাছে পাঠানো হয়েছে। আদতে 'আম আদমি পার্টি’র কর্মী যোশি বলেন, এই পিটিশন তিনি নিজের প্রচারের জন্য দাখিল করেননি। জনগণের পক্ষে এ কাজ করেছেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে উদ্বিগ্ন হাজার হাজার মানুষের চিন্তার প্রতিফলন এ আবেদন। পাসপোর্ট অথবা আধার কার্ড নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট নয় বলে মানুষ আতঙ্কিত। তাই আমি জানতে চাই, প্রধানমন্ত্রী কাছে নিজেকে ভারতের নাগরিক প্রমাণ করার জন্য অন্য কোনও নথিপত্র আছে কি না। আরও পড়ুন: Adhir Ranjan Chowdhury: পশ্চিমবঙ্গে সার্কাস চলছে, রাজ্যপাল আর মুখ্যমন্ত্রী সার্কাসের জোকার:অধীর চৌধুরী

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিজেপি আর কংগ্রেসের (Congress) মধ্যে বিবাদ চলছেই। শাসক দলকে টানা আক্রমণ করছে বিরোধীরা। তবে পাল্টা আক্রমণে গেছে বিজেপিও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিক্ষোভের আবহে জানিয়েছে, এই নতুন আইন নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার নয়, নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। সম্প্রতি দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তিনি বলেন, কংগ্রেসসহ বিরোধীরা নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মিথ্যা রটাচ্ছে। মানুষকে উস্কানি দিচ্ছে। দিল্লির রামলীলা ময়দানের সভায় তিনি বলেন, দেশের নিপীড়িত মানুষদের জন্য পাস করা হয়েছে নাগরিকত্ব আইন। তাকে সম্মান করুন। শোষিত, নিপীড়িত মানুষদের জন্য এই বিল পাস করিয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভা। গণতন্ত্রের এই মন্দিরকে দাঁড়িয়ে সম্মান করুন। যাঁরা এই বিল পাস করিয়েছেন তাঁদের সম্মান করুন। কিন্তু এনিয়ে মিথ্যে প্রচার করছে বিরোধীরা। দিল্লিতে ঘর দেওয়ার ক্ষেত্রে কাউকে তাদের ধর্ম কী তা জানতে চাওয়া হয়েছিল! হয়নি। তাহলে এখন কেন প্রশ্ন উঠছে।"