কটক, ৬ জুলাই: গত ১০ দিনে কটকের ক্যানসার হাসপাতালের (at Cuttack Cancer Hospital) রোগী চিকিৎসাকর্মী মিলিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০০। চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে আচার্য হরিহর রিজিওনাল ক্যানসার রিসার্চ হাসপাতালে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ইতিমধ্যেই ওই হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চলছে স্যানিটেশনের কাজ। কীকরে এমন একটা ঘটনা ঘটল তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কটকের জেলাশাসক ভবানী শঙ্কর চাইনি। যদি এমন পরিস্থিতির নেপথ্যে কোনওরকম গাভিলতির প্রমামমেলে তো কড়া পদক্ষেপও নেওয়া হবে। ওই হাসপাতলে চিকিৎসাধীন ক্যানসার রোগীদের পরিবারের তরফে অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একাংশের গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে সংক্রমণ প্রতিরোধে যতাযথ সুরক্ষার ব্যবস্থা ছিল না।
এক রোগীর অভিযোগ, করোনা আক্রান্ত রোগীকে নিয়ে গা-ছাড়া মনোভাব দেখিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের এই গাফিলতির জেরেই গোটা হাসপাতালে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার পরে আচার্য হরিহর রিজিওয়ান ক্যানসার রিসার্চ হাসপাতালের বেশ কয়েকজন রোগীর শরীরে কোভিডের জীবাণু মেলে। সঙ্গে সঙ্গে গোটা হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার রাতেই সংক্রামিতদের ভুবনেশ্বরের কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় স্বভাবতই রোগীর পরিবারের তরফে শুরু হয় বিক্ষোভ। এর পরেই ওই ক্যানসার হাসপাতালের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে পড়ায় মঙ্গলবাগ থেকে বিরাট পুলিশ বাহিনী তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলেই জানিয়েছেন কটকের ডিসিপি অখিলেশ্বর সিং। আরও পড়ুন-Earthquake In Ladakh: সাতসকালেই কাঁপল লাদাখ, রিখটার স্কেলে ভূকম্পনের মাত্রা ৪.৭
জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত ক্যানসার রোগীদের বাসটিকে কটক থেকে ভুবনেশ্বরের কোভিড হাসপাতালে পৌঁছে দেয় পুলিশের পাইলট কার। কটকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৯। গত তিনদিনে সেখানে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৪ জন। এবং এই ১৪৪ জন সংক্রামিতদের বেশিরভাগই আচার্য হরিহর রিজিওনাল ক্যানসার রিসার্চ হাসপাতালের রোগী ও চিকিৎসাকর্মীরা। সংক্রমণ চিহ্নিত করতে হাসপাতালটি যে পুরসভা এলাকায় রয়েছে সেই জায়গাটি পুরোপুরি শাটডাউনের নির্দেশ দিয়েছে নগর উন্নয়ন দপ্তরের কর্তাব্যক্তিরা। বুধবার পর্যন্ত চলবে এই শাটডাউন। যদি সংক্রমণ না কমে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে তাহলে এই শাটডাউনও বাড়তে পারে বলে খবর।