নতুন দিল্লি, ১ সেপ্টেম্বর: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ (RS Prasad) ফেসবুক সিইও মার্ক জুকারবার্গকে (Mark Zuckerberg) একটি চিঠি লেখেন। ফেসবুক ভারতের দলকে রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিত্তিতে বৈষম্যমূলক আচরণ করার অভিযোগ আনেন। রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন, ফেসবুক কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রবীণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের প্রতি আপত্তিজনক কথা বলেছে। তিনি আরও বলেন, এ ধরণের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, ফেসবুক ইন্ডিয়া দলের অনেক সিনিয়র অফিসার একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শের সমর্থক। তারা মানুষকে সেভাবেই প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, আপনার সংস্থায় শক্তির লড়াই চলছে। ফেসবুকেকে ভারসাম্য রাখা উচিত ও নিরপেক্ষ হওয়া উচিত। রবি শঙ্কর প্রসাদ আরও লিখেছেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে ফেসবুক ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্ট কেন্দ্রীয় সরকারের ডানপন্থী আদর্শের সমর্থকদের পেজগুলি মুছে দেন এমনকি পেজের রিচ পর্যন্ত যায়। আরও পড়ুন, ‘ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলছি, প্রণব মুখার্জি এটাই ভুলিয়ে দিতেন’ স্মৃতিমেদুর মোহন ভাগবত
তাত্পর্যপূর্ণভাবে, কংগ্রেস অভিযোগ করেছে যে বিজেপি এবং ফেসবুকের মধ্যে একটি জোটের সম্পর্ক রয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জেনারেলের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে কংগ্রেস বলেছে, "ফেসবুক ভারতে একটি নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন করে এবং নির্বাচনে বিজয়ী করতে এটিকে অনেক সহায়তা করেছিল।" ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের 'ঘৃণাত্মক বক্তব্য' প্রকাশের পরে কংগ্রেস দাবি করে ভারতে বিজেপি এবং আরএসএস দখল করেছে ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপকে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল রিপোর্টটি, রাহুল গান্ধী তার টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন। এই খবরটি রিটুইট করে রাহুল লেখেন, "ভারতে ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপের দখলে বিজেপি এবং আরএসএস। তারা এর মাধ্যমে ভুয়ো খবর এবং ঘৃণা ছড়ায়। তারা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে এগুলি ব্যবহার করে।" অবশ্য, বিজেপি তাদের ওপর করা সমস্ত অভিযোগ ও দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করে।