মমতা ব্যানার্জি ও অমিত শাহ (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ৯ মে: ফের কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। চিঠিতে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে (Mamata Banerjee) চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন, তাঁর সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Workers) জন্য রাজ্যে পৌঁছনোর স্পেশাল ট্রেনের অনুমতি দিচ্ছে না। মমতা ব্যানার্জিকে দেওয়া চিঠিতে অমিত শাহ লেখেন, সরকার আটকে থাকা শ্রমিকদের তাদের বাড়িতে পৌঁছতে কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকা পড়া বাঙালি শ্রমিকদের জন্য "অবিচার" বলে ব্যাখ্যা করেন।

অমিত শাহ আরও দাবি করেন, মমতা ব্যানার্জির সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের স্পেশাল ট্রেনগুলি পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করতেও দিচ্ছে না। তিনি লেখেন, "আমরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রত্যাশিত সমর্থন পাচ্ছি না। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ট্রেনগুলি পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছতে দিচ্ছে না। এটি পশ্চিমবঙ্গ অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতি অবিচার। এতে তাদের আরও কষ্ট হবে।" আরও পড়ুন, পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে কর্নাটক থেকে ট্রেন চালানোয় অনুমোদন রাজ্য সরকারের

এই অবস্থা পরিযায়ী শ্রমিকরা যারা তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে চান তাদের আরও অসুবিধা সৃষ্টি করবে বলে জানান তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস লকডাউনের মধ্যে দু'লাখ আটকে পড়া শ্রমিককে দেশে ফিরতে সহায়তা করেছে। আটকা পড়া অভিবাসীদের পরিবহনের জন্য শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন শুরু করে ভারতীয় রেল। আট দিনের মধ্যে ২৫১ টি ট্রেন চলাচল করেছে এবং ২.৬ লক্ষ মানুষকে পরিবহন করেছে।

এদিকে গতকাল কর্নাটকে (Karnataka) আটকে পড়া রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant workers) জন্য শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন (Shramik Special Train) চালানোর সম্মতি দেয় রাজ্য সরকার। কর্নাটকের নোডাল অফিসার মঞ্জুনাথ প্রসাদ একথা জানান। তিনি বলেন, আমরা পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ সরকারের থেকে অনুমোদন পেয়েছি। আমরা প্রতিদিন ৫টি করে ট্রেন চালাতে পারব। প্রতিদিন ট্রেনগুলি ছাড়বে।

প্রাথমিকভাবে লকডাউনে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ১০ শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। হঠাৎই সেই ট্রেনগুলি বাতিল করে দেয় কর্নাটক সরকার। মঙ্গলবার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছিলেন, খুব দ্রুতই আগের মতোই কাজে যোগদান করবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাই আপাতত তাঁদের বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেন চালানোর প্রয়োজন নেই। এরপরই সমালোচনার ঝড় ওঠে। দেশের অন্যান্য রাজ্যের শ্রমিকরা স্পেশাল ট্রেনে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পেলে কর্নাটকের শ্রমিকরা কেন বঞ্চিত থাকবেন, প্রশ্ন তোলেন অনেকে।