এবার দেশের সাধারণ নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার পালা। আগামী শুক্রবার দেশের ৮৭টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হতে চলেছে। বাংলায় ভোট দার্জিলিং সহ উত্তরবঙ্গের তিন লোকসভা আসনে। দ্বিতীয় দফায় বাংলা (৩টি), উত্তর প্রদেশ (৮), বিহার (৫টি), ছাড়াও ভোট হবে মধ্যপ্রদেশ (৭টি আসনে), রাজস্থান (১৩টি), ছত্তিশগড় (৩টি), মহারাষ্ট্র (৮টি), কর্ণাটক (১৪টি), কেরল (২০টি), অসম (৫টি), ত্রিপুরা (১টি), মণিপুর (১টি) ও জম্মু-কাশ্মীরে (১টি)।
প্রথম দফায় যেমন তামিলনাড়ুর সব কটি আসনে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়ছিল, এবার দ্বিতীয় দফায় তেমন কেরলে সব কটি লোকসভা আসনে নির্বাচন হয়ে যাবে। গতবার কেরলের ২০টি-র মধ্যে ১৮টি-তে জিতেছিল কংগ্রেস। এবারও কেরল নিয়ে কংগ্রেসের অনেক আশা। কেরলের মত কর্ণাটক নিয়েও হাত শিবিরের আশা অনেক। কর্ণাটকে ২৫টি-র মধ্যে ১৪টি আসনে দ্বিতীয় দফায় ভোট। বিজেপি চাইছে এবার কেরলে ছাপ ফেলতে। কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হলেও এবার লোকসভায় গতবারের মত সব আসনে জিততে মরিয়া গেরিুয়া শিবির।
দ্বিতীয় দফায় হতে চলা গতবার এই ৮৭টি-র মধ্যে এনডিএ জিতেছিল ৬৩টি-আসনে। এবার সেখানে আসন বাড়াতে মরিয়া মোদী শিবির। কিন্তু এটাও ঠিক বিজেপির চ্যালেঞ্জ গতবারের চেয়ে অনেক বেশী। যেখানে কর্ণাটক তাদের হাতছাড়া হয়েছে, ইউপি-তেও সবটাই তাদের পক্ষে নেই। রাজস্থানে কয়েক মাসে বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয়ের পরেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কাঁটা রয়েছে। মহারাষ্ট্রে এবার শরিকদের চাপে দলের নিচুতলার কথাও সেভাবে শোনা হয়নি বলে অভিযোগ। তবে বিজেপির সুবিধা হল মোদী ঝড় উঠলে অন্য আর কোনও নেগেটিভ ফ্যাক্টার গায়ে লাগে না। কিন্তু প্রশ্ন হল এবার সেভাবে মোদী হাওয়া তৈরি হয়েছে কি?
দ্বিতীয় দফায় তারকা প্রার্থীরা
রাহুল গান্ধী (ওয়ানাড়, কেরল)
শশী থারুর (তিরুবন্তপুরম, কেরল)
হেমা মালিনী (মথুরা, উত্তর প্রদেশ)
অরুণ গোবিল (মিরাঠ, উত্তর প্রদেশ)
সুকান্ত মজুমদার (বালুরঘাট, পশ্চিমবঙ্গ)
ভূপেশ বাঘেল (রাজনন্দনগাঁও, ছত্তিশগড়)
তেজস্বী সূর্য (বেঙ্গালুরু দক্ষিণ, কর্ণাটক)
কৃতি সিং দেববর্মা (পূর্ব ত্রিপুরা, ত্রিপুরা)