Extra Marital Affairs, Representational Image (Photo Credit: Pixabay)

বেঙ্গালুরু, ২১ মার্চ: শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হতে হলে অর্থ চাই। অর্থের বিনিময়ে স্ত্রী (Wife)  শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হতে চাইলে পুলিশের দ্বারস্থ হন বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) এক তথ্য প্রযুক্তি কর্মী। যার পালটা অভিযোগ নিয়ে স্ত্রীও পুলিশের দ্বারস্থ হন। স্ত্রীর অভিযোগ, স্বামী তাঁকে হেনস্থা করছেন। স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ করে থানায় হাজির হন সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মীর স্ত্রী। স্বামী, স্ত্রী এই অভিযোগ, পালটা অভিযোগের খবরের জেরে ফের বেঙ্গালুরু সরগরম হয়ে উঠতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: Wife Mixed Sedatives In Merchant Navy Officer Food Before Killing: খুনের আগে লাউয়ের কোফতায় ঘুমের ওষুধ মেশায় মুসকান, ঘুম গাঢ় হলে নেভি অফিসারকে কুপিয়ে ১৫ টুকরো করে স্ত্রীর প্রেমিক

ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুযায়ী, ওই তথ্য প্রযুক্তি কর্মী বেঙ্গালুরুর ভ্যালিকাভাল থানায় হাজির হন। সেখানে পুলিশের কাছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের করেন অভিযোগ। বলেন, তাঁর স্ত্রী ব্ল্যাকমেইল করছেন। অর্থ চাইছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্থার মিথ্যে অভিযোগ করছেন।

প্রসঙ্গত ২০২২ সালে একটি ম্যাট্রি মনিয়াল সাইট থেকে পছন্দ করে শ্রীকান্ত এবং বিন্দুশ্রীর বিয়ে হয়। দেখাশোনা করে বিয়ের পর এবার শ্রীকান্ত এবং বিন্দুশ্রীর মধ্যে বিভেদ তৈরি হতে শুরু করে।

শ্রীকান্তের  অভিযোগ, বিয়ের আগেই বিন্দুশ্রীর মা তাঁর কাছে অর্থ দাবি করেন। ওই সময় ৩ লক্ষ টাকা তিনি শাশুড়ির অ্যাকাউন্টে ফেলেন। শুধু তাই নয়, ৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও বিয়ের খরচের জন্য তিনি বিন্দুশ্রীর মাকে আরও ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দেন বলে দাবি শ্রীকান্তের।

বিয়ে করলেও বিন্দুশ্রী কখনও তাঁর কাছে শ্রীকান্ত ঘেঁষতে দেন না। বিয়ের ২ বছর পরও শ্রীকান্ত এবং বিন্দুশ্রীর মাঝে কোনও শারীরিক সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন ওই তথ্য প্রযুক্তি কর্মী। এরপরই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন শ্রীকান্ত। তিনি বলেন, তাঁর স্ত্রী শর্ত দিয়েছেন, শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হতে চাইলে তাঁকে প্রত্যেকদিন ৫ হজার টাকা করে দিতে হবে।

এসবের পাশাপাশি অর্থ ছাড়া তিনি স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হতে চাইলে বিন্দুশ্রী তাঁকে হুমকি দিতে শুরু করেন। এমনকী  তিনি আত্মহত্যা করে শ্রীন্তের নাম সুইসাইড নোটে লিখে রেখে যাবেন বলেও হুমকি দেন। সেই সঙ্গে বিন্দুশ্রী তাঁর গোপনাঙ্গে আঘাত করে ঘনিষ্ঠ হতে চাইলে। থানায় হাজির হয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে কার্যত একের পর এক ভয়াবহ অভিযোগ করতে শুরু করেন শ্রীকান্ত।

স্ত্রী এবং তাঁর মায়ের কেনা বাড়ির জন্য প্রত্যেক মাসে ৭৫ হাজার টাকা করে ইএমআই তাঁকে দিতে হবে বলে শ্বশুরবাড়ির তরফে জোর জবরদস্তি করা হয় বলেও শ্রীকান্তের অভিযোগ।

এমনকী শ্রীকান্ত যখন ওয়ার্ক ফ্রম হোম করেন, সেই সময় বিন্দুশ্রী নাচতে শুরু করেন এবং অফিসের মিটিং থেকে তাঁকে বিরত করেন। ফলে চাকরি হারান শ্রীকান্ত। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বিচ্ছেদ চান তিনি। কিন্তু বিচ্ছেদ চাইলে তাঁকে ৪৫ লক্ষ খোরপোশ বাবদ বিন্দুশ্রীকে দিতে হবে বলে তাঁর স্ত্রী দাবি করেন বলে পুলিশকে জানানো হয়।

এদিকে বিন্দুশ্রীর পালটা অভিযোগ, শ্রীকান্ত তাঁকে হেনস্থা করেন। বাড়িতে চাকরবাকরের মত করে খাটান। এমনকী বিয়ের পরও পণের জন্য তাঁর উপর শ্রীকান্ত চাপ দিতে শুরু করেন। শুধু তাই নয়, স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাথরুমে ক্যামেরা বসিয়ে তাঁর গোপণ ভিডিয়ো শ্যুটেরও চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ বিন্দুশ্রীর।

এসবের পাশাপাশি বিন্দুশ্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করলে তিনি আর শ্বশুরবাড়ি ছাড়তে পারবেন না বলে শাশুড়ি সব সময় ছেলেকে কুমন্ত্রণা দেন বলেও অভিযোগ করেন বিন্দুশ্রী। ফলে শ্বশুরবাড়ির ভয়ে তিনি বাবা, মায়ের কাছে চলে যান বলে পালটা অভিযোগে পুলিশকে জানান ওই মহিলা।

ঘটনার জেরে পুলিশ শ্রীকান্ত এবং বিন্দুশ্রী, দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠায়। দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয় পুলিশের তরফে।