
দিল্লি, ২১ মার্চ: যত সময় গড়াচ্ছে, তত প্রকাশ্যে আসছে মার্চেন্ট নেভি অফিসার খুনের (Merchant Navy Officer Murder) নেপথ্য কাহিনী। যা শুনে মানুষ শিউরে উঠতে শুরু করেছে। সৌরভ রাজপুতকে (Saurabh Rajput) খুনের কথা স্বীকার করেছে মুসকান রাস্তোগি (Muskan Rastogi) এবং সাহিল শুক্ল (Sahil Shukla)। পুলিশি জেরায় মুসকান এবং সাহিল জানায়, সৌরভকে খুনের পর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর দেহ কেটে ফেলার পরিকল্পনা ছিল তাদের। তবে প্রাথমিক পরিকল্পনায় ভাটা পড়ে।
ফলে খুনের পর সৌরভের দেহ প্রথমে টেনে বাথরুমে নিয়ে যায় সাহিল এবং মুসকান। এরপর সৌরভের মাথা এবং পরে হাত কাটা হয়। সৌরভের মাথা পলিথিনে ব্যাগে ভরে রাখা হয় এবং তাঁর কাটা হাত নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় সাহিল শুক্ল। অন্যদিকে মুসকান সৌরভের মাথা ভিন্ন দেহ খাটের বক্সে ঢুকিয়ে, সারা রাত কাটায়। অর্থাৎ সৌরভের মুণ্ড ছাড়া দেহের সঙ্গেই রাত কাটায় মুসকান।
এরপর বাজার থেকে বিশাল আকারের প্লাস্টিকের ড্রাম কিনে এনে তার ভিতরে সৌরভের দেহ খণ্ড খণ্ড করে ঢোকায় মুসকান এবং সাহিল। এরপর সেই ড্রামের ভিতরে সিমেন্ট এবং কাঠের গুড়ো ঢুকিয়ে তার মুখ বন্ধ করে দেয়। যে কোনও সিনেমার দৃশ্য থেকেই সৌরভকে খুন এবং তাঁর দেহ খণ্ড খণ্ড করার এই ফন্দি আঁটে সাহিল শুক্ল এবং মুসকান রাস্তোগি। এমনই মনে করছে পুলিশ।
পুলিশের খবর অনুযায়ী, গত ৩ মার্চ সৌরভ যে লাউয়ের কোফতা মায়ের বাড়ি থেকে নিয়ে যান, সেখানেই ঘুমের ওষুধ মেশায় মুসকান। সৌরভ সেই কোফতা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে, খুনের পরবর্তী পরিকল্পনা চরম পর্যায়ে পৌঁছে দেয় সাহিল এবং মুসকান।