শ্রীনগর, ৬ আগস্ট: ৩৭০ ধারা বিলোপের সঙ্গে সঙ্গেই স্পেশ্যাল স্টেটাস থেকে সরে গিয়েছে ভূস্বর্গ কাশ্মীর। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ এখন এই দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে কাশ্মীর। এদিনের পর থেকেই গোটা উপত্যকা থমথম করছে। দোকানপাট বন্ধ, রাস্তাঘাটে সাধারণ বাসিন্দাদের দেখা নেই গোটা উপত্যকা শুধু সেনার বুটের আওয়াজে মুখর। ৩৭০ ধারা বিলোপের কারণে কাশ্মীর জুড়ে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হতে পারে তাই সেখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। এমতাবস্থায় উপত্যকার বাসিন্দারা যে খাবারের সমস্যায় ভুগবেন না তা জানাতে ভোলেননি প্ল্যানিং কমিশনের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি রোহিত কানসাল। তিনি জানিয়েছেন, এনিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই, প্রায় তিন মাসের উপরে খাবারদাবার রয়েছে প্রশাসনর কাছে। আরও পড়ুন- Article 370 Debate: সংসদের চলতি অধিবেশনেই মিটবে কাশ্মীর সমস্যা, কিভাবে এগোলেন মোদি-শাহ জুটি?
এদিকে কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে শ্রীনগরেই রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বাসিন্দাদের শান্তি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে কাশ্মীরের পুলিশ প্রশাসন। এলাকা জুড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এদিকে রোহিত কানসাল বলেছেন, “রাজ্য জুড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার মজুত করা হয়েছে এবং বিতরণও করা হয়েছে। বিশেষত কাশ্মীর উপত্যকায় তিন মাসেরও বেশি চাল, গম, মাংস, ডিম এবং জ্বালানির সরবরাহ রয়েছে। তাই খাবারের কোনও ঘাটতি হবে না। ফলে খাবার ও আবশ্যিক বিভিন্ন জিনিসের সরবরাহ নিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না।”
Rohit Kansal, Principal Secy, Planning Commission in Srinagar: Adequate food&supplies have been stocked&distributed across the state. Kashmir valley has more than 3 months supply of rice,wheat,mutton,eggs&fuel. There will be no shortage of food or civil supplies in the state. https://t.co/hsaEmGsD33
— ANI (@ANI) August 5, 2019
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে উপত্যকায় মোট ৪৩ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সমস্ত থানার দখল নিয়েছে আধা সেনা। ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে কোনওরকম অশান্তি এড়াতে উপত্যকার সব স্কুল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে যাতে কোনওরকম গুজব না ছড়ায় সেদিকে কড়া নজর রেখেছে কেন্দ্র। বিপর্যয় এড়াতে কাশ্মীরে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ইন্টারনেট বন্ধ হওয়াতে অনকেই আপত্তি তুলেছিল, তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি শান্ত করতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এমনিতেই উপত্যাকায় রয়েচে প্রচুর সেনা ও পুলিশ। নতুনভাবে সেখানে সেনা মোতায়েন করে সকলকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাকে গ্রেপ্তার করে সরকারি অতিথিশালায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই দুজনই ৩৭০-এর সমালোচনায় উড়েপড়েলেগেছিলেন বলেই এহেন বন্দোবস্ত করা হয়েছে।