এই সেি নারকীয় দৃশ্য(Photo Credit: Md Asif Khan‏‎‎‎‎‎‎'s Twitter handle)

রাঁচি, ১৯ সেপ্টেম্বর: গণপিটুনিতে তাবরেজ আনসারির (Tabrez Ansari) মৃত্যু হয়েছিল, এই ঘটনায় অভিযুক্ত ১১ জনকে প্রায় রেহাই দিয়ে দেয় ঝাড়খণ্ড সরকার। এক সপ্তাহ আগেরই ঘটনা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই কাবরেজ আনসারির দেহ ময়নাতদন্তের দাবি তোলে তাঁর পরিবার। একই সঙ্গে মৃতের স্ত্রী জানান, যদি তাঁর স্বামীকে খুনের অভিযোগ বলবৎ না হয় তাহলে তিনি আত্মঘাতী হবেন। এহেন হুমকির পর ফের নড়েচড়ে বসে ঝাড়খণ্ড প্রশাসন। ফের ওই ১১জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। যদিও তার আগে খুনের অভিযোগ তুলে তাবরেজের মৃত্যুর জন্যা হৃদরোগকেই চিহ্নিত করেছিল প্রশাসন। রাজ্য সরকারের এহেন নির্দেশিকার পর বিভইন্ন মহলে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়।

গণমাধ্যম থেকে শুরু করে বিভিন্ন মানবাধিকার কমিশনের তরফেও ওঠে নিন্দার ঝড়। এই তীব্র সাঁড়াশি আক্রমণের মাঝে পড়ে প্রায় বাধ্য হয়েই গতকাল বুধবার ফের তাবরেজ আনসারির খুনের মালা রুজু করে ঝাড়খণ্ড পুলিশ। ওই ১১জনের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের হয়। এরপরেই এক বিবৃতিতে পুলিশ জানানয় ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে এই খুনের মামলা পুনর্বহাল হল, ১১জনকেই অভিযুক্ত করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তাবরেজ আনসারির দেহের প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্টটি কিন্তু মৃত্যুর কারণ হিসেবে হৃদরোগকেই নিশ্চিত করে। সেই সময় ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল মহত্মা গান্ধী হসাপাতালে। এদিকে রিপোর্ট প্রকাশ্য়ে আসার পর জানা যায়, বড়সড় আঘাতে তাবরেজের শরীরের হাড় ঘুঁড়িয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে হৃৎপিণ্ডে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যেতেই তাঁর মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে লিঞ্চিংয়ের ভিডিওটিও ভাইরাল হয়েছে। আর ঘটনাটি যে মিথ্যে নয় তার প্রমাণও মজুত। তাই ফের ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু হয়েছে। আরও পড়ুন-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এনআরসি থেকে রাজীব কুমার কী থাকবে আলোচনায় তাই নিয়েই জল্পনা

এটা সবাই জানে যে গত ১০ সেপ্টেম্বর ১১জনে বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিয়ে তাবরেজ খুনের মামলা বন্ধ করে দিয়েছিল ঝাড়খণ্ড পুলিশ। গত ১৭জুন নারকীয় ঘটনাটি ঘটে যখন ১১জন দুষ্কৃতী তাবরেজ আনসারিকে একটি খুঁটির সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রড দিয়ে বেধড়ক মারতে থাকে। অভিযোগ আরও দুজনের সঙ্গে মিলে ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা এলাকা থেকে তাবরেজকে মোটর সাইকেল চুরি করতে দেখা যায়। এই অভিযোগেই নাকি তাঁকে মারধর করা হয়। বেধড়ক পেটানোর সঙ্গে জোর করে তাঁকে জয় শ্রী রাম বলতে বাধ্যও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাবরেজ আনসারিকে হাসপাতালে ভর্তি করলে ২২ জুন সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।