জম্মু-কাশ্মীর। (Photo Credits: ANI)

শ্রীনগর, ২৯ অগাস্ট: Jammu And Kashmir: ভূ স্বর্গকে ছন্দে ফেরানোর যাবতীয় চেষ্টা শুরু হয়ে গেল। জম্মু-কাশ্মীরের পাঁচ জেলায় মোবাইল পরিষেবা ফের চালু করা হল। জম্মুর যে পাঁচ জেলায় মোবাইল পরিষেবা স্বাভাবিক করা হল সেগুলি হল-দোদা, কিস্তওয়াক, রামবন, রাজৌরি এবং পুঞ্চ। এই পুঞ্চ জেলায় সাম্প্রতিককালে জঙ্গি হানার ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই খবর জানিয়ে বলা হয়েছে, ধীরে ধীরে জম্মুর সব জেলায় মোবাইল পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। গতকাল জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক বলেছিলেন, উপত্যকায় ইন্টারনেট যতটা না সাধারণ মানুষের কাজে লাগে, তার থেকে বেশি কাজে লাগিয়ে জঙ্গি আক্রমণ ঘটনায় সন্ত্রাসবাদীরা।

ভুয়ো খবর, গুজব ছড়িয়ে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে তাই ভূ স্বর্গে ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগাতে পারে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন। গত ৫ অগাস্ট সংসদে জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলে সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে রাজ্যে জারি রয়েছে নানা বিধিনিষেধ। আরও পড়ুন-‘উপত্যকায় ফোন ইন্টারনেটের সুযোগ নেয় পাকিস্তানি ও জঙ্গিরা’, কী বললেন কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক?

Mobile phone services snapped across #JammuAndKashmir since August 5, resumed in five districts of Jammu region- DODA, KISHTWAR, RAMBAN, RAJOURI and POONCH pic.twitter.com/DO6BK3halF

গত সপ্তাহেই জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসনের ঘোষণা করেছিল, জম্মুতে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করে যাবতীয় বিধিনিষেধ ধীরে ধীরে তুলে ফেলা হবে। তবে কাশ্মীরে এখনও বিধিনিষেধ চলবে বলে জানানো হয়েছিল।

উপত্যকায় ফোন ও ইন্টারনেট সব থেকে বেশি ব্যবহার করে পাকিস্তানিরা ও জঙ্গিরা। সেই তুলনায় বাসিন্দাদের সিকি ভাগ এই ইন্টারনেট ও ফোন পরিষেবার (Mobile Internet Service) সুযোগকে কাজে লাগায়। ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপকে কেন্দ্র করে অশান্ত হতে পারে জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu & Kashmir)। তাই আগেভাগেই ভূস্বর্গে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্র। এই ঘটনার পর ২৪টা দিন কেটেছে। এতদিন পর উপত্যকায় যোগাযোগ বন্ধ প্রসঙ্গে মুখ খুলে বুধবার শ্রীনগরে এমনটাই বললেন সেখানকার রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক (Governor Satya Pal Malik) ।

তিনি বলেন, ‘আমাদের থেকে উপত্যকায় ফোন ও ইন্টারনেটের সুযোগ অনেক বেশি নেয় পাকিস্তানিরা (Pakistani) ও জঙ্গিরা (Terrorists)। তারা এর মাধ্যমে উপত্যকার আমজনতাকে ভুল বুঝিয়ে জঙ্গিবাদে প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করে। ৩৭০ ধারা বিলোপের পরে জঙ্গিরা যাতে এই ফোন ও ইন্টারনেটকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে, সেকারণেই সমস্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে ধীরে ধীরে সেই ব্ল্যাক আউটের সময়টা কেটে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই কুপওয়ারা ও হান্ডওয়ারা জেলায় মোবাইল ফোনের পরিষেবা চালু হয়েছে। খুব শিগগির ভূস্বর্গের অন্যান্য জেলাতেও মোবাইল ফোনের পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।’