ভারতে করোনাভাইরাস (Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ১৭ আগস্ট: ৫৭ হাজার ৯৮২ জন নতুন করোনাভাইরাস আক্রান্তকে নিয়ে দেশের কোভিড রোগীর পরিংখ্যান ছাড়ালো ২৬ লাখ ৪৭ হাজারের কোটা। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য বলছে, গতকাল সারাদিনে দেশের করোনার বলি ৯৪১ জন। এই মুহূর্তে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ লাখ ৪৭ হাজার ৬৬৪। এই মুহূর্তে সংক্রামিত ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৯০০ জন। ভাল খবর এই যে এখনও পর্যন্ত দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থতার হার বেশি।। করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৩। একই সঙ্গে সোমবার দেশে করোনায় মৃত্যু মিছিল ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেল।

মৃত্যু মিছিলে শামিল ৫০ হাজার ৯২১ জন। সোমবার আইসিএমআর জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৪১ হাজার ৪০০ নমুনার করোনা টেস্ট হয়েছে। দেশে ক্রমবর্ধমান করোনাভাইরাস টেস্টের গ্রাফ দেখালো স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, টেস্টের জেরেই কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের আগেভাগে চিহ্নিত করা যাচ্ছে ও আইসোলেশনের বন্দোবস্তও হচ্ছে। টেস্টের সংখ্যা বাড়ায় করোনাভাইরাস পজিটিভ রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন। আর এর ফলেই দেশে মারণ রোগে মৃত্যুর হার কমছে। টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি ও সুচিকিৎসা সংক্রমণ রুখতে না পারলেও মৃত্যুর পরিসংখ্যান কমাতে পারে। দেশের মধ্যে সবথেকে খারাপ অবস্থায় রয়েছে মহারাষ্ট্র। রবিবার দিন সেখানে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শুধু রবিবারই করোনার বলি ২৮৮ জন। মহারাষ্ট্রে মারণ ভাইরাসে ৩.৩৬ শতাংশ। এদিকে রবিবার রাতে স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলেন (Coronavirus Cases In West Bengal) ৩ হাজার ৬৬ জন। যার ফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৪৯৮ জন। এদিকে, হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ হাজার ৯৩৫ জন। যার জেরে মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮৬ হাজার ৭৭১ জন। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৪.৪৮ শতাংশ। রাজ্যে এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২৭ হাজার ২৯৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আরও ৫১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত মোট ২,৪২৮ জন করোনার বলি হলেন। আরও পড়ুন-COVID-19 Tests In India: সোমবার ভারতে করোনাভাইরাস টেস্টের সংখ্যা ৩ কোটি ছাড়িয়ে গেল, মৃতের হার কমে ১.৯৩ শতাংশ

ভারতে করোনার বলি ৫০ হাজার ৯২১ জন

ভারতে করোনা জয়ীর পরিসংখ্যান অর্থাৎ সুস্থতার হার ৭১.৯১ শতাংশ। মূলত করোনাভাইরাসের টেস্টের সংখ্যা দেশজুড়েই বেড়েছে। এর জেরে সংক্রামিতকে চিহ্নিত করা যেমন সহজ হয়েছে। তেমন তাদের সময়মতো চিকিৎসার বন্দোবস্তও করা হয়েছে। তাই দেশের করোনায় মৃত্যুর হার কমেছে। একই সঙ্গে সুস্থতার হারও বেড়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য হল, এই করোনা সংগ্রামের নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্র রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংক্রমণের ২৩ দিনের মধ্যেই ৫০ হাজারের মৃত্যু ছুঁয়ে ফেলেছিল। ব্রাজিলে ৯৫ দিনে করোনার বলি হন ৫০ হাজার মানুষ। আবার মেক্সিকোকে সেই পরিসংখ্যানে পৌঁছাতে লাগল ১৪১ দিন। ভারত প্রায় ৫০ হাজার মৃ্ত্যু মিছিল টানতে লাগিয়ে দিল ১৫৬ দিন।