Credit: Pixabay

ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমানোর সময়ে শরীরের অবস্থান, বিশেষ করে ঘাড় এবং মেরুদণ্ডের অবস্থান সঠিকভাবে থাকা খুবই জরুরি। বালিশ ব্যবহার করা বা না করার উপর নির্ভর করে ঘুম কেমন হচ্ছে। বালিশে ভর দিয়ে ঘুমানোর উপকারিতা রয়েছে। বালিশের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি ঘাড় এবং মেরুদণ্ডকে সঠিক অবস্থানে রাখতে সাহায্য করে। বালিশের উচ্চতা সঠিক হলে, এটি ঘাড়কে তার প্রাকৃতিক বক্ররেখায় ধরে রাখে, ব্যথা এবং শক্ত হওয়া রোধ করে। বর্তমানে অ্যান্টি-অ্যালার্জেনিক বালিশও পাওয়া যায়, যা ধুলো, মাইট এবং অন্যান্য অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান থেকে সুরক্ষা দেয়। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে এই ধরনের বালিশ বিশেষভাবে উপকারী।

বালিশ ব্যবহার মাথা এবং ঘাড়ে আরাম দেয়, যা ঘুমের মান উন্নত করে। এটি মানসিক চাপ কমাতে এবং ভালো ঘুম পেতে সাহায্য করে। সাইনাস বা মাথাব্যথার সমস্যা থাকলে বালিশ ব্যবহার উপকারী হতে পারে। মাথাটা সামান্য উঁচুতে রাখলে সাইনাসের চাপ কমতে সাহায্য হয়। তবে বালিশ ছাড়া ঘুমানোরও উপকারিতা রয়েছে। বালিশ ছাড়া ঘুমালে মেরুদণ্ড তার স্বাভাবিক অবস্থানে থাকে। ঘাড় বা পিঠের ব্যথার সমস্যা থাকলে বালিশ ছাড়া ঘুমানো উপকারী হতে পারে। বালিশ ছাড়া ঘুমানোর জন্য মুখের ত্বকের উপর চাপ কমে, যা বলিরেখা এবং ব্রণের সমস্যা কমাতে পারে।

বালিশ ছাড়া ঘুমানো ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। বালিশ ছাড়া ঘুমালে মাথা ও ঘাড়ের রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। এটি মস্তিষ্কে অক্সিজেন এবং পুষ্টির সরবরাহ বাড়ায়, যার ফলে সকালে সতেজ বোধ হয়। বালিশ ব্যবহার করার সময় ঘাড় ব্যথা অনুভব হলে অবশ্যই বালিশ ছাড়া ঘুমানো আরামদায়ক হতে পারে। বালিশ ব্যবহার করা উচিত কি উচিত নয় তা নির্ভর করে ব্যক্তির শারীরিক চাহিদা এবং অভ্যাসের উপর। ঘাড় বা পিঠের ব্যথা হলে সঠিক উচ্চতা এবং সাপোর্ট সহ বালিশ ব্যবহার করা উপকারী হতে পারে। তবে বালিশ ছাড়া ঘুমাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হলে এবং এটি ঘুমের মান উন্নত করলে এটিও একটি ভালো বিকল্প।