নতুন দিল্লি, ১৭ আগস্ট: রবিবার পর্যন্ত ভারতে তিন কোটিরও বেশি করোনাভাইরাস টেস্ট (COVID-19 Tests In India) হয়েছে। সোমবার এই তথ্য দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। দেশে ক্রমবর্ধমান করোনাভাইরাস টেস্টের গ্রাফ দেখালো স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, টেস্টের জেরেই কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের আগেভাগে চিহ্নিত করা যাচ্ছে ও আইসোলেশনের বন্দোবস্তও হচ্ছে। টেস্টের সংখ্যা বাড়ায় করোনাভাইরাস পজিটিভ রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন। আর এর ফলেই দেশে মারণ রোগে মৃত্যুর হার কমছে। টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি ও সুচিকিৎসা সংক্রমণ রুখতে না পারলেও মৃত্যুর পরিসংখ্যান কমাতে পারে। সোমবার আইসিএমআর জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৪১ হাজার ৪০০ নমুনার করোনা টেস্ট হয়েছে। আরও পড়ুন-Kolkata Shocker: দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামীর মাথা ও গোপনাঙ্গ কেটে খুন স্ত্রীর, হাওড়ায় চাঞ্চল্য
১৬ আগস্ট পর্যন্ত যখন ৩ কোটির উপরে টেস্ট হয়েছে তখন শুধু রবিবারই সাত লক্ষ ৩১ হাজার ৬৯৭টি নমুনার কোভিড টেস্ট হয়েছে। ১৬ তারিখে ৬৩ হাজার ৬৮৯ জন নতুন করোনা রোগী নিয়ে দেশে মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ লাখ ছুঁই ছুঁই। সবমিলিয়ে ভারতে মোট করোনা আক্রান্ত ২৫ লাখ ৮৯ হাজার ৬৮২ জন। মৃত্যু মিছিলে শামিল ৪৯ হাজার ৯৮০ জন। ইতিমধ্যেই ভারতে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৮ লক্ষ ৬২ হাজার ২৫৮ জন। মারণ রোগ নভেল করোনাভাইরাসে দেশে মৃত্যুর হার প্রতিদিন কমছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী ভারতে করোনায় মৃত্যুর হার কমে হয়েছে ১.৯৩ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান দেখেই স্পষ্ট যে দেশে কোভিড-১৯ জয় করে সুস্থতার হার অনেক বেশি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের টুইট
Focussing on timely and aggressive TESTING, India has exceeded 3 crore tests. pic.twitter.com/1ayhEzmPF8
— Ministry of Health (@MoHFW_INDIA) August 17, 2020
ভারতে করোনা জয়ীর পরিসংখ্যান অর্থাৎ সুস্থতার হার ৭১.৯১ শতাংশ। মূলত করোনাভাইরাসের টেস্টের সংখ্যা দেশজুড়েই বেড়েছে। এর জেরে সংক্রামিতকে চিহ্নিত করা যেমন সহজ হয়েছে। তেমন তাদের সময়মতো চিকিৎসার বন্দোবস্তও করা হয়েছে। তাই দেশের করোনায় মৃত্যুর হার কমেছে। একই সঙ্গে সুস্থতার হারও বেড়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য হল, এই করোনা সংগ্রামের নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্র রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংক্রমণের ২৩ দিনের মধ্যেই ৫০ হাজারের মৃত্যু ছুঁয়ে ফেলেছিল। ব্রাজিলে ৯৫ দিনে করোনার বলি হন ৫০ হাজার মানুষ। আবার মেক্সিকোকে সেই পরিসংখ্যানে পৌঁছাতে লাগল ১৪১ দিন। ভারত প্রায় ৫০ হাজার মৃ্ত্যু মিছিল টানতে লাগিয়ে দিল ১৫৬ দিন।