Representational Image (Photo Credit: IANS)

আবাসিক স্কুলের হস্টেল দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গেই থাকত দুই ছাত্রী। সম্প্রতি তাঁরা ছুটিতে বাড়ি এসেছিল, তারপর থেকেই আর ফিরতে চাইছে না হস্টেলে। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে এক ছাত্রী তাঁর মাকে জানায় বিগত কয়েক মাস ধরে তাঁদের সঙ্গে কী ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে। প্রায় প্রতিটি রাতেই প্রধান শিক্ষকের যৌন হেনস্থা শিকার হতেন নবম শ্রেণির দুই ছাত্রী। আর সেই কারণেই আতঙ্কে এখন স্কুলে যেতে চাইছেন না তাঁরা। এদিকে জানাজানি হওয়ার আশঙ্কাতেই স্কুলে আগে থেকে ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের র (Goalpokhar) এক সরকারি স্কুলে।

আবাসিক স্কুলের হস্টেলে দুই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা

জানা যাচ্ছে, বিগত আড়াই মাস ধরে বাড়িতেই ছিল দুই যাত্রী। তবে তাঁদের পরিবারের লোকজন হস্টেলে ফিরে যাওয়ার কথা বলতেই বেঁকে বসত। এমনকী কান্নাকাটিও জুড়ে দিত। এরমধ্যেই একজনের মা তাঁকে চাপ দিতে কান্নায় ভেঙে পড়ে সবটা পরিবারকে জানায়। অন্যদিকে, বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার নামে ওই মেয়েটি সহপাঠীর মায়ের ব্যাগে একটি চিঠি ফেলে রেখে চলে যায়। সেই চিঠি সম্প্রতি মহিলার হাতে পড়ে। তখন সেও সবটা জানতে পারেন।

ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক

এরমধ্যে সোমবার রাতে দুই পরিবারের মধ্যে একজনের পরিবার থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। সেই খবর কোনওভাবে কানে যায় প্রধান শিক্ষকের। তারপরেই সে স্কুলে পরিচালন কমিটির কাছে ব্যক্তিগত সমস্যা দর্শিয়ে ইস্তফাপত্র দিয়ে বেরিয়ে যায়। অন্যদিকে মঙ্গলবার আরেকজনের পরিবারের পক্ষ থেকেও অভিযোগ দায়ের করা হয়। আপাতত সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।