
জম্মু কাশ্মীর এবং উত্তরাখণ্ডে নাগারে হয়ে চলেছে তুষারপাত। এরই মাঝে শুক্রবার উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথ ঘটে গেল সাংঘাতিক ঘটনা। ভারত-চিন সীমান্তের কাছে মানা গ্রামে নামে তুষারধস। বরফের পুরু চাদরের নীচে চাপা পড়েন ৫৭ শ্রমিক। জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মিলে শুরু করে উদ্ধার কাজ। বরফ কেটে ৩২ জনকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। আটকে এখনও ২৫ জন। প্রায় ছয় থেকে সাত ফুট পুরু চাদরের নীচে আটকে তারা। আবহাওয়ার অবস্থা এতই খারাপ যে বাধা পাচ্ছে উদ্ধারকাজ। অঝোরে বরফ বৃষ্টির জেরে নামানো যাচ্ছে না হেলিকপ্টার। এর পাশাপাশি সন্ধ্যে নামার ফলে দৃশ্যমানতা কমে গিয়েছে। ফলে শুক্রে আর কতদূর উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এদিকে সারারাত বরফের নীচে চাপা থাকলে আটকে থাকা ২৫ জন ঠাণ্ডায় মারা যেতে পারেন সেই আশঙ্কাও রয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানালেন, শ্রমিকদের উদ্ধার করা হচ্ছে কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে অভিযানের গতি শ্লথ হয়ে যাচ্ছে। দৃশ্যমানতা কম থাকায় হেলিকপ্টার এলাকায় নামানো সম্ভব হচ্ছে না। নাগাড়ে ভারী তুষারপাত এবং বৃষ্টিপাত চলছে। যা উদ্ধারকারী দলের উদ্ধার অভিযানকে ব্যাহত করছে।
প্রায় ছয় থেকে সাত ফুট পুরু চাদরের নীচে আটকে ২৫ জন কর্মীঃ
#WATCH | Uttarakhand | Indo-Tibetan Border Police (ITBP) personnel carry out rescue operations in the avalanche-hit area of Chamoli District.
The 10 injured people are now receiving treatment in ITBP and Army MI rooms. Efforts are ongoing to locate and evacuate the remaining… pic.twitter.com/yu2j0XjBn0
— ANI (@ANI) February 28, 2025
বদ্রীনাথ মন্দির থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে মানা গ্রামের পাশে একটি মহাসড়কের কাছে এই তুষারধসের ঘটনাটি ঘটে। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত এই মন্দির পরিদর্শন করেন। ভারত-চীন সীমান্তের কাছে মানা গ্রাম এবং মানা পাসের মধ্যে ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশ সম্প্রসারণের কাজ চলছিল। আর সেই সময়েই তুষারধস নামে। বরফের নীচে চাপা পড়েন ৫৭ জন শ্রমিক। জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্যে আনা হয় ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি), বর্ডার রোডস অর্গাাইজেশনের (বিআরও)। তবে উদ্ধারকাজে পর্যাপ্ত বাহিনী আনা হলেও প্রকৃতির বিরূপ চেহারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কীভাবে এবং কতক্ষণ উদ্ধারকাজ চালানো যাবে সেই দিকেই নজর গোটা দেশবাসীর।