নতুন দিল্লি, ১৭ এপ্রিল: বৃহস্পতিবার ছিল ভারতীয় রেলের (Indian Railway) ১৬৭ -তম জন্মদিন (167th Birthday)। দেশজুড়ে করোনার কারণে চলছে লকডাউন। গত ১৬৭ বছরে প্রথমবারের মতো ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলো ট্রেনগুলি তার জন্মদিনে কোনও যাত্রী বহন না করে। ১৬৭ বছর আগে এই দিনে, মুম্বই থেকে থানেতে দেশের প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেনের চাকা ঘুরেছিল। ১৯৭৪ সালে ভারতীয়রা প্রথম ট্রেন বন্ধের মুখোমুখি হয়েছিল। ১৯৭৪ সালের মে মাসে রেলওয়ের ধর্মঘটের সময় প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে চালক, স্টেশন মাস্টার, প্রহরী, ট্র্যাক কর্মী এবং আরও অনেকে 'চাক্কা জ্যামে' গেছিলেন ট্রেন চালকদের জন্য নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা এবং পারিশ্রমিক বৃদ্ধির দাবিতে।
অল ইন্ডিয়া রেলওয়েমেনস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শিব গোপাল মিশ্র, রেলপথে প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন, তিনি পিটিআইকে জানিয়েছেন, "আমি সেই সময়গুলিকে প্রাণবন্তভাবে স্মরণ করতে পারি। আমার মনে আছে, আমাদের নেতা জর্জ ফার্নান্দিস তত্কালীন রেলপথ মন্ত্রীর সঙ্গে চুক্তি প্রায় করে ফেলেছিলেন। কিন্তু তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে নেওয়া হলে তা আর হয়নি।" আরও পড়ুন, মন্দা রুখতে লকডাউনে বিপর্যস্ত সেক্টরের জন্য আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার সম্ভাবনা অর্থমন্ত্রীর
এখনকার মতো চার দশক আগেও প্রয়োজনীয় পণ্যবাহী মালবাহী ট্রেন চালানো হয়েছিল এবং ইউনিয়নগুলি কিছু যাত্রীবাহী ট্রেন হাওড়া থেকে দিল্লির কালকা মেলের মতো ট্রাঙ্ক রুটে চালাতে দিতে সম্মত হয়েছিল। বৃহস্পতিবার, রেলপথ মন্ত্রণালয় টুইটারে রেলকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখে- "আজ থেকে ১৬৭ বছর আগে মুম্বই থেকে থানেতে প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেনের চাকা 'কখনই থামবে না' এই উদ্যোগ নিয়ে প্রথমবারের মতো যাত্রীবহন করেছিল। বর্তমানে আপনার সুরক্ষার জন্য পরিষেবাগুলি বন্ধ রয়েছে। বাড়ির ভিতরে থাকুন এবং জাতিকে বিজয়ী করুন।"
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে রেলপথ ২৫ মার্চ থেকে ৩ মে পর্যন্ত সমস্ত যাত্রী পরিষেবা স্থগিত করেছে। রেলপথ দ্বারা পরিচালিত প্রায় ১৫, ৫২৩ টি ট্রেন ৯, ০০০ যাত্রীবাহী ট্রেন এবং প্রতিদিন চালিত ৩, ০০০ মেল এক্সপ্রেস পরিষেবাসহ প্রভাবিত হয়েছে। ভারতীয় রেল প্রতিদিন ২ কোটিরও বেশি যাত্রীকে বহন করে।