নতুন দিল্লি, ১৭ এপ্রিল: মহামারী করোনার তাড়নায় ভারতের অর্থনীতি শিকেয় উঠেছে। টানা লকডাউনের জেরে বন্ধ সমস্ত রকমের উৎপাদন। এই পরিস্থিতিতে সবথেকে খারাপ অবস্থায় থাকা কয়েকটি সেক্টরকে আর্থিকভাবে পুনরুজ্জীবিত করা প্রয়োজন। সেইসব এলাকার মন্দার আশঙ্কা কমাতেই বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎপর্ব সারলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। এই বৈঠকেই করোনা ত্রস্ত দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে একটা আভাসও নরেন্দ্র মোদিকে দেন নির্মলা সীতারমণ। নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই বিপর্যস্ত সেক্টরগুলির পুনরুজ্জীবনের জন্য আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা করেন। লকডাউনের বাজারে প্রায় ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে যাওয়া অসমারিক বিমান পরিবহন, হোটেল ব্যবসা, ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পগুলির ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে আলোচনা হয়।
ভাইরাস সংক্রমণের জেরে অর্থনৈতিক টাস্কফোর্স নিয়েও আলোচনা হয় দুজনের মধ্যে। ২০২০-র মার্চে এই অর্থনৈতিক টাস্কফোর্স তৈরি হয়েছে। যেখানে কোভিড-১৯ এর প্রভাবে ভারতীয় অর্থনীতির কি পরিস্থিতি হয়েছে তানিয়ে বিস্তর পর্যালোচনা হয়েছে। বিভইন্ন সংস্থায় নিম্নমুখী জিডিপি নিয়েও নরেন্দ্র মোদি ও সীতারমণ বার্তালাপ করেন। লকডাউনের প্রাথমিক প্রভাব নিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত সেক্টর গুলির পুনরায় জাগরণ কীভাবে সম্ভব তানিয়েও একটা সম্ভাব্য পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। মহামারীর কারণে ভারতের জিডিপি যে পড়ছে তা গত সপ্তাহেই বিভিন্ন আন্তার্জাতিক সংস্থা আভাস দিয়েছে। এর জেরে এসবিআই দেশের অর্থনীতির ঊর্ধ্বগতি ১.১ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। আরও পড়ুন- J&K Encounter: ভূস্বর্গে কাকভোরে সেনা জঙ্গির গুলির লড়াই, অপারেশন অব্যাহত
গত মার্চেই করোনা বিধ্বস্ত ভারতে গরিবদের জন্য আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করে অর্থ মন্ত্রক। ১.৭ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে লকডাউনের (Lockdown) দ্বিতীয় পর্যায়েও লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত সারা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩, ৩৮৭। এদের মধ্যে সক্রিয় রয়েছেন ১১,২০১ জন। ভারতে মৃতের সংখ্যা ৪৩৭ জন। অন্তত ১৭৪৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এদের মধ্যে ১ জন বিদেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০০৭ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।