নরেন্দ্র মোদি ও শি জিনপিং (Photo Credit: IANS File)

নতুন দিল্লি, ১১ অক্টোবর: দুদিনের ভারত সফরে শুক্রবার তামিলনাড়ুতে আসছেন চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং (Chinese President Xi Jinping)। তাঁকে স্বাগত জানাতে কোনও রকম আড়ম্বর বাদ দিতে নারাজ নয়াদিল্লি। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিতীয়বারের জন্য দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন শি জিনপিং। তামিলনাড়ুর মহাবলীপুরমে হবে সেই বৈঠক। শুক্রবার বিকেল চারটে নাগাদ তামিলনাড়ুর আন্তার্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন চিনের রাষ্ট্রপতি। তারপর সেখান থেকে তাঁর বিলাসবহুল হংগি লাক্সারি গাড়িতে চড়ে মহাবলীপুরমের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হওয়ার কথা। মহাবলীপুরমের স্থাপত্য ভাস্কর্য ঘুরে দেখবেন এই দুই রাষ্ট্রপ্রধান। ইউনেস্কোর হেরিটেজ সাইট পঞ্চরথ, অর্জুনের তপস্যা ও বঙ্গোপসাগরের তীরের মন্দির।

প্রশিক্ষিত গাইড দিয়েই চলবে স্থাপত্য দর্শন। এই বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গকে ব্রাত্যই রাখতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদি। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে সংঘাতহীন রাখতে আরও আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ, সন্ত্রাস এবং পরিবেশ দূষণ দমনে বাড়তি সহযোগিতা, সর্বোপরি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারতের ঘাটতি কমানোর বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। শনিবার তাজ ফিশারম্যানস কোভ রিসর্টে প্রথমে দুই শীর্ষ নেতা বৈঠক করবেন। তার পর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে কথা বলবেন চিনা কমিউনিস্ট পার্টির দুই শীর্ষ নেতা ইয়াং জিয়েচি এবং ওয়াং ই। শনিবার চেন্নাই থেকে নেপাল রওনা হবেন শি। এদিকে বেজিঙে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকের পর শি তো বলেইছেন, যৌথ বিবৃতিতেও চিন-পাকিস্তানকে কাঁধে কাঁধ মেলাতে দেখা গিয়েছে কাশ্মীর প্রশ্নে। ভারতে আসার ৪৮ ঘণ্টা আগে শি-র বক্তব্য, পাকিস্তান যেগুলিকে মূল বিষয় বলে মনে করে, তার প্রতি চিনের সমর্থন রয়েছে এবং কাশ্মীরের দিকে চিন নজর রেখেছে। আরও পড়ুন-কাশ্মীর ইস্যুতে গোটা বিশ্ব নরেন্দ্র মোদির পাশে দাঁড়িয়ে, আর পাকিস্তান দাঁড়িয়ে এক কোণে: অমিত শাহ

উল্লেখ্য, ২০১৮-র এপ্রিলে উহান বৈঠকের (bilateral meet)পরে মোদির অনুরোধে ভারত থেকে চাল ও চিনি আমদানি বাড়িয়েছে বেজিং। তা সত্ত্বেও এখনও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারতের ঘাটতি ৫০ বিলিয়ন ডলার। এই বিপুল ঘাটতি কমাতে চিনের বাজার ভারতীয় পণ্যের জন্য খুলে দিতে শি-কে অনুরোধ জানাবেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister Narendra Modi)। কিন্তু এতকিছুর মধ্যেই কাশ্মীর প্রসঙ্গ এড়ানো যাবে কি না তাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।