পঙ্গপালের হানা (Photo Credits: AFP)

জয়পুর, ৮মে: ২৬ বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার পঙ্গপালের আক্রমণে (Locust Attack) অতিষ্ঠ রাজস্থানের কৃষকরা। একেই মহামারী করোনার জেরে লকডাউন চলছে। কৃষিকে ছাড় দেওয়া হলেও কৃষকের লাভের ভাঁড়ার শূন্যই বলা চলে। এরমধ্যে প্রতিবেশী পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসছে পঙ্গপাল। তারপর বারমেঢ়, জালোর, জয়সালমেঢ়, যোধপুরের ফসলের ক্ষেতে ঝাঁপিয়ে পড়ে, সমস্ত ফসল নষ্ট করে ফেলছে। পঙ্গপালকে রোখার কোনও পথ সাধারণত নেই। তাই নিরুপায় হয়ে ফসল নষ্ট দেখা ছাড়া আর কোনও পথ কৃষকদের সামনে খোলা নেই। এই সময় রাজস্থানের কৃষিজমিতে সাধারণত সবজির পাশাপাশি রয়েছে বাজরার মতো রবিশষ্যও। পঙ্গপালের আক্রমণে তার অবস্থাও সঙ্গীন। এসব দেখেশুনে লকডাউনের বাজারে কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে।

হিন্দুস্থান টাইমসের রিপোর্ট অনুসারে, পঙ্গপালের আক্রমণে প্রায় দেড় লক্ষ হেক্টর জমির ফসল ক্ষকিগ্রস্ত হয়েছে। গত বছর ২১-মে তে একইভাবে পঙ্গপালের হানায় রাজস্থানের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল নষ্ট হয়েছিল। সবথেকে খারাপ অবস্থায় পড়েছিল বারমেঢ়, জয়সালমেড় ও জালোর জেলার চাষিরা। কৃষকদের আশঙ্কা গত বছরের তুলনায় এবারে পঙ্গপালের আক্রমণে ফসলের ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হতে পারে। শুধু রবিশষ্যই নয় নষ্ট হতে পারে খারিফ শষ্যও। আরও পড়ুন- Coronavirus Peak: জুন-জুলাই নাগাদ ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চূড়ান্ত পর্যায় ছাড়াবে, আশঙ্কার কথা শোনালেন এইমস-এর ডিরেক্টর

এদিকে পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রক অফিস ঘুরে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রকের তরফে একটি চিঠি এসেছে। তাতে আসন্ন পঙ্গপাল আক্রমণের সম্ভাবনার খবর দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, পঙ্গপালের আক্রমণে এবার গুজরাটের রবি ও খারিফ শষ্যও সংকটের মুখে। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের রিপোর্ট অনুসারে ফসলের ক্ষতি রুখতে বনসকণ্ঠ জেলার ৩৩টি দল, পাটানের ১৫টি ওমেহসানা জেলার ১০টি দল পঙ্গপালের গতিবিধির উপরে নজর রাখছে। এবং প্রয়োজনীয় কীটনাশকের বন্দোবস্ত সুনিশ্চিত করেছে। গবেষকদের আশঙ্কা, পঙ্গপালের হামলায় নষ্ট হতে পারে মিষ্টিআলু, চিনেবাদাম, তরমুজ ও সবজি। ক্ষেত লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছেষ কোনওভাবে পঙ্গপালের ঝাঁকের দেখা মিললেই যেন প্রশাসনকে তৎক্ষণাৎ জানানো হয়।