TMC FLAG (Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ২১ মার্চ: জাতীয় দলের মর্যাদা কি হারাতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস? গোয়া থেকে ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পর এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বাংলায় ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেস, মহারাষ্ট্রের বিরোধী আসানে বসা জাতীয়বাদী কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি ও সিপিআই-দেশের এই তিনটি দলই এখন নির্বাচন কমিশনের খাতায় সর্বভারতীয় পার্টি। কিন্তু সর্বভারতীয় দলের তকমা বজায় রাখতে হলে যে সব শর্ত থাকতে হয়- যেমন দেশের চারটে রাজ্যে ন্যুনতম যতগুলো আসনে জিততে হয়, তা এই তিনটি দলের আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে পর্যালোচনায় বসলেন কমিশনের কর্তারা। সর্বভারতীয় দলের তকমা হারালে সব রাজ্যে নিজেদের দলীয় প্রতীকে লড়ার সুযোগ নাও মিলতে পারে। ফলে জাতীয় দলের তকমা হারালে অন্য রাজ্য়ে ভোটে লড়ার কাজটা আরও কঠিন হতে পারে তৃণমূল, এনসিপি, সিপিআইয়ের জন্য।

বাংলায় ক্ষমতায় থাকা, মিজোরামে পাঁচজন বিধায়ক থাকলেও গোয়া এবং ত্রিপুরায় একেবারেই খারাপ ফল করে তৃণমূল। আরও পড়ুন-তামিলনাড়ুতে করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহে ছিল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট

চলতি মাসের গোড়ায় কমিশনকে চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, জাতীয় পার্টি হতে হলে অন্তত ৩টি রাজ্যে ২% আসন থাকতে হয়। তৃণমূলের এর জন্য যথেষ্ট সাংসদ আছে ঠিকই, কিন্তু সেগুলি মাত্র একটা রাজ্য থেকেই। এরপর শুভেন্দু লিখেছিলন, অন্তত চারটে রাজ্যে ন্যূনতম ৬ শতাংশ ভোট পেলে তবে জাতীয় দল হওয়া যায়। যেটা তৃণমূলের নেই। এর সঙ্গে শুভেন্দুর দাবি ছিল, জাতীয় দলের স্বীকৃতি বজায় রাখতে হলে দেশের চারটে রাজ্যে স্বীকৃতি রাজনৈতিক দল হতে হয়। যার জন্য চারটে রাজ্যে সর্বশেষে বিধানসভা নির্বাচনে অন্তত ৬ শতাংশ ভোট এবং দুই বা তার বেশী বিধায়ক থাকতে হয় কিংবা ওই চারটে রাজ্য থেকে অন্তত একজন করে সাংসদ থাকতে হয়। সেখানে পশ্চিমবাংলা ছাড়া তৃণমূল গত পাঁচ বছরে লড়ছে শুধু গোয়া, ত্রিপুরা, ও মিজোরাম বিধানসভা ভোটে।

দেখুন টুইট

তার ওপর আবার লোকসভায় বাংলার বাইরে আর কোনও প্রতিনিধি নেই দিদির দলের। এই বিষয়ে কমিশনকেও চিঠিও লিখেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, দিল্লি, পঞ্জাব- দুটো রাজ্যে ক্ষমতায় থাকলেও আম আদমি পার্টিকে জাতীয় দলের স্বীকৃতি দেয়নি কমিশন।

ভারতে নির্বাচন কমিশন স্বীকৃত আটটি জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলি হল- ১) বিজেপি, ২) ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, ৩) তৃণমূল কংগ্রেস, ৪) জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস (এনসিপি), ৫) বহুজন সমাজ পার্টি, ৬) সিপিআই(এম), ৭) সিপিআই, ৮) ন্যাশানল পিপিলস পার্টি (এনপিপি) (মেঘালয়ের শাসক দল)।