অরবিন্দ কেজরিওয়াল(Photo Credit: Twitter)

দিল্লি, ১১ সেপ্টেম্বর:  রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে কোনও রোগীর জন্য ভিআইপি রুম থাকবে না। অর্থাৎ ভিআইপি হিসেবে সরকারি হাসপাতালে কারও চিকিৎসা হবে না। আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) বুধবার এমনটাই ঘোষণা করলেন। তেমনই রাজধানীর যাবতীয় সরকারি হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিলেন সেখানে যদি কোনওরকম ভিআইপি চিকিৎসার বন্দোবস্ত ও রুম থাকে তা আজ থেকে নিষিদ্ধ। একই সঙ্গে সমস্ত সাধারণ ওয়ার্ডগুলি যাতে বেসরকারি হাসপাতলের মতো গুণগত মানে উন্নত হয় তারও ব্যবস্থা করবে সরকার। তিনি বলেন, আমি স্বাস্থ্য দপ্তরকে নির্দেশ দিচ্ছি যেন সরকারি হাসপাতালে আর ভিআইপি সংস্কৃতি না চলে। ভিআইপিদের জন্য কোন ব্যক্তিগত রুম নয়। গুণগতমানে উন্নত পরিষেবা প্রত্যেকেই সমান ভাবে পাবেন।

এদিন সোশ্যাল মিডিয়াতেই মুখ খুললেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জানালেন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ভিআইপি সুযোগ সুবিধা বরদাস্ত হবে না। সকলেই সমান সুযোগ পাবেন। আর চিকিৎসার মান হবে অত্যন্ত উন্নত। এই মর্মে কেজরিওয়াল জানান, দিল্লিতে সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন শুরু হয়ে গিয়েছে। আগে যেখানে ১১ হাজার ৩৫৩টি বেড এঁটে যেত। আর রোগীর দন্য পৃথক বন্দোবস্তের ব্যবস্থা হত না। সেখানে হাসপাতালে ওয়ার্ড কক্ষের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সবমিলিয়ে এখন ১৩ হাজার ৮৯৯টি বেড সেখানে পাতা যাবে। হাসপাতালের সম্প্রসারণে আরও অনেককে এক সঙ্গে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। খুব শিগগির গোটা হাসপাতালকে বাতানুকূলও করা হবে। আরও পড়ুন-

সামনেই দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। ভোট বাক্সকে নিরাপদ করতে একেবারে গৌরী সেনের ভূমিকায় উন্নীত হয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যতগুলি ঘোষণা তিনি জনস্বার্থে করেছেন তারমধ্যে সবথেকে লাভজনক হল, মহিলাদের আর সরকারি বাসে যাতায়াতের জন্য টাকা লাগবে না। রাজধানীর কর্মজীবী মহিলারা আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে বিনামূল্যে সরকারি বাসে চড়ে অফিসে যাতায়াত করতে পারবেন। একই সঙ্গে রাজ্যের প্রটিতি বাসিন্দার বিদ্যুৎ ও জলের বকেয়া বিলও মকুব করে দিয়েচে আপ সরকার। আগামী বছরের জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি নাগাদ রাজধানীতে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। এবার সেখানে ত্রিমুখী লড়াই হবে, আপ বিজেপি ও কংগ্রেস লড়াইয়ের কুশীলব। গত ২০১৫-র লোকসভা নির্বাচনে রাজধানী থেকে কংগ্রেসকে প্রায় ধুয়ে মুচে সাফ করে দিয়েছিল আপ। ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মদ্যে ৬৭টি আপের দখলে চলে আসে। গত পাঁচ বছরে অনেক বদল এসেছে। তাইতো ভোটের দামামা বাজতে না বাজতেই গৌরী সেন হয়ে গিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।