চেন্নাই, ১ ডিসেম্বরঃ শনিবার তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে রাতভর তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গল (Cyclone Fengal)। সকাল থেকেই চলেছে মুষলধারে বৃষ্টি। চেন্নাইয়ে (Chennai) ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। শনির রাতে তামিলনাড়ুর উপকূল অঞ্চল হয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করেছে ফেঙ্গল। গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল। উপকূল অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। প্রবল বৃষ্টিপাতের (Heavy Rain) জেরে চেন্নাইয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। ডুবে গিয়েছে পুদুচেরির (Puducherry) নিচু এলাকা। ঘরছাড়া হয়েছেন প্রচুর মানুষ। স্কুল, হাসপাতাল ডুবে গিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্যে বন্যা ত্রাণ অপারেশন শুরু করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army)। দুর্গতদের সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে রবির সকাল থেকে। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও (NDRF)। ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গল মোকাবিলায় আগে থেকেই স্থানীয় প্রশাসনের তরফে তামিলনাড়ু এবং পুরুচেরিতে একাধিক ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছিল। সেখানেও আশ্রয় নিয়েছে বহু মানুষ। ঘূর্ণিঝড় এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বেহাল অবস্থা পুদুচেরির। জল জমার কারণে ব্যহত ট্রেন চলাচল।
উদ্ধারকাজে ভারতীয় সেনা...
The Indian Army has launched flood relief operations in Puducherry following heavy rainfall caused by Cyclone Fengal, which has resulted in widespread waterlogging. The operations were initiated in response to a formal requisition from the District Collector of Puducherry,… pic.twitter.com/kUYMrKajsT
— ANI (@ANI) December 1, 2024
ঝড়ের কারণে বন্ধ রাখা হয়েছিল চেন্নাই বিমানবন্দরের (Chennai Airport) যাবতীয় পরিষেবা। রবিবার ভোর থেকে স্বাভাবিক হয় বিমানযাত্রা। ভোর ৪টে থেকে শুরু হয়েছে বিমান ওঠানামা। রবির বেলার শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়টি। ফলে ঝড়ের প্রকোপ কাটলেও এখনও বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই। ৩ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার পর্যন্ত তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, দক্ষিণ কর্ণাটক এবং কেরলে ভারী বৃষ্টি চলবে।