হায়দরাবাদ, ৩১ মার্চ: সোমবার করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ছুঁল ৪০। চলতি মাসের গোড়ার দিকে দিল্লির নিজামুদ্দিনে যে ৬ জন তবলিকি জমাতে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। মৃতেরা প্রত্যেকেই এই ধর্মীয় সভায় যোগ দিয়েছিলেন। নিজামুদ্দিন (Nizamuddin) এলাকায় য়ে সভা ১৩ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত চলেছে। মৃতদের প্রত্যেকের বাড়ি তেলেঙ্গানায়। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এই ছয় জনের মধ্যে ২ জন গান্ধী হাসাপাতালে মারা গিয়েছেন। একজনের মৃত্যু হয়েছে অ্যাপোলো হাসপাতালে। গ্লোবাল হাসপাতালে ভর্তি থাকা চতুর্থ ব্যক্তিরও মৃত্যু হয়েছে। নিজামাবাদ ও গাদওয়াল জেলা থেকে বাকি দুজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।

এরপরই তেলেঙ্গানা সরকারের তরফে বাসিন্দাদের কাছে আবেদন করা হয়েছে যাঁরা নিজামুদ্দিনের ধর্মসভায় যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা সেখান থেকে ফিরে কোথায় গিয়েছেন, কী করেছেন তার যাবতীয় তথ্য প্রশাসনকে জানান। এরপরই টুইটবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ৬ জনের মৃত্যুর খবর জানান। তথ্য বলছে, নিজামুদ্দিনের ওই তবলিকি জমাতে অংশ নিয়েছিলেন মোট ২০০০ জন। শুধু দেশের জনগণই নয়, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকেও অনেকে এসেছিলেন এই ধর্মসভায়। তিনদিনের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পড়েও রাজধানীর ওই এলাকায় অনেকে বেশ কয়েকদিন থেকেছেন। আতঙ্ক তখনই ছড়িয়ে পড়ে যখন তবলিকি জমাতে যোগ দেওয়া লোকজনের একাংশের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ প্রকট হয়ে ওঠে। ২৬ মার্চ প্রথম শ্রীনগরে একজনের মৃত্যু হয়। তিনিও নিজামুদ্দিনের ধর্ম সভায় গিয়েছিলেন। এবং করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তবে দিল্লিই শুধু নয় তিনি আবার উত্তরপ্রদেশেও যান। আরও পড়ুন-Coronavirus Outbreak: বাড়িতেই থাকুন নিয়ম ভাঙলে জেলে যেতে হবে, মারণ ভাইরাস প্রতিরোধে কড়া ভূমিকায় ওয়াশিংটন

এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আম আদমি পার্টির সরকার দিল্লি পুলিশকে বলে, নিজামুদ্দিনের মার্কাজের মাওলানার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হোক। দিল্লির সরকারের তরফে জানানো হয় যে, লকডাউনের সময় প্রশাসনের নিয়মনীতি ভেঙেছে নিজামুদ্দিনের মার্কাজ। আর সেকারণেই প্রচুর কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর সন্ধান মিলছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এরপরেই নিজামুদ্দিন এলাকার লোকজনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বাস পাঠিয়েছে সরকার। সেখানকার বাসিন্দাদের আলাদা হসাপাতালে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করা হবে। আদৌ তাঁরা আক্রান্ত কি না।